১৫ দিনের উত্থান-পতনের ধীরগতি শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন স্বাভাবিক পরিস্থিতির কাছাকাছি পৌঁছেছে। সোমবার সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে কোম্পানি ও ইউনিটের মোট লেনদেন ৯৫০ কোটি টাকায় পৌঁছায়, যা পূর্বের তুলনায় উল্লেখযোগ্য বেড়ো দেখা গেছে। এদিন ডিএসই সূচকও বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের মূল্য আরও বেড়েছে।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই দিন ডিএসই প্রধান সূচক ১৮ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়। ডিএসইসি ১১ এবং ডিএস-৩০ সূচকও যথাক্রমে ৫ পয়েন্ট করে বেড়েছে। লেনদেনে অংশ নেয়া ৪০০ টি কোম্পানির মধ্যে ২২৪ টি কোম্পানি মূল্য বাড়িয়েছে, ৯৪ টি শেয়ারের দাম কমেছে, এবং ৬৪ টি কোম্পানি অপরিবর্তিত থাকেছেই।
ক্যাটাগরির ভিত্তিতে দেখা যায়, এ, বি এবং জেড— সব ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার মূল্যে বৃদ্ধির রেকর্ড হয়েছে। শীর্ষ লাভজনক এ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ২২১ কোম্পানির মধ্যে ১৩১টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ৬২টির দাম কমেছে, এবং ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বৃহৎ ব্লক মার্কেটে এই দিনে ৪১ কোম্পানির মোট বিক্রয় হয় ১৩ কোটি টাকার শেয়ার। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে পূবালি ব্যাংকের আওতাধীন কোম্পানিগুলোর।
সূচকের পাশাপাশি বেশিরভাগ কোম্পানির দরও বেড়েছে। সারাদিনে ডিএসইতে মোট ৯৭৫ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত দিনের চেয়ে অনেক বেশি।
তালিকায় শীর্ষে রয়েছে সোনালি পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস, যার দর ৯ শতাংশের ওপর বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে, ৫ শতাংশের বেশি দর কমে তলানিতে রয়েছে আইসিবি ইমপ্লয়িস প্রভিডেন্ট মিউচুয়াল ফান্ড।
এছাড়া, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) सकारात्मक প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। সেখানে সূচক ৬১ পয়েন্ট বেড়েছে, এবং বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারে দাম ওঠানামা চলছে।
সেখানে অন্তত ২০৮ কোম্পানির মধ্যে ১২৮টির দাম বেড়েছে, ৫৪টির দাম কমেছে, এবং ২৬টির স্থিতিশীল রয়েছে। সারাদিনে মোট ১৮ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে, যা আগের দিনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
শীর্ষে ছিল এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, যার দাম ১০ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর ৯ শতাংশ কমে গেছে, যা তলানিতে পৌঁছেছে।