বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন আয়োজনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ৪ মিলিয়ন ইউরো অর্থায়ন প্যাকেজ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন ইইউর বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এবং প্রতিনিধি দলের প্রধান মাইকেল মিলার। তিনি বলেন, এই সহায়তা বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে নির্বাচন পরিচালনা করতে সহায়তা করবে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ.এম.এম নাসির উদ্দিনের সাথে ছয় সদস্যের ইইউ প্রতিনিধি দলের বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি। মাইকেল মিলার জানান, এই সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়বে এবং একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে কাজ করবে ইইউ। তিনি বলেন, “আমরা ২০২৬ সালের আগমুখী সময়কালকে লক্ষ্য করে কাজ করছি।” নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহ ও মাসে বাংলাদেশের নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, “আমরা আমাদের দক্ষতা কাজে লাগাচ্ছি যাতে নির্বাচনগুলো গ্রহণযোগ্য, আন্তর্জাতিক মানের এবং অবাধ ও সুষ্ঠু হয়।” মিলার আরও বলেন, তিনি শুধু ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গেই নয়, বরং ইউরোপীয় পার্টনারশিপ ফর ডেমোক্রেসির প্রতিনিধিদের সঙ্গেও এসেছেন, যারা নির্বাচনী পর্যবেক্ষণে অংশ নেবেন। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও বিরোধ নিষ্পত্তির মতো ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য তারা স্বাধীনতা, দক্ষতা এবং জবাবদিহিতা বজায় রাখবে।” মিলার আসন্ন নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষণ মিশনের জন্য অগ্রাধিকার দিয়েছে এবং আগামী মাসগুলোতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে। পাশাপাশি, তিনি জানান, আগামী মাসে একটি কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল বাংলাদেশে আসবে, যারা সম্ভাব্য নির্বাচনী পর্যবেক্ষণের জন্য পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবে। মিলার বলেন, “বিভিন্ন বিষয় সমাধানের প্রয়োজন রয়েছে, কারণ বাংলাদেশ এখন গভীর রাজনৈতিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।” তিনি মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজনের অভিজ্ঞতা রাখলেও সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচনের পরিচালনা ও ফলাফলে কিছু প্রশ্ন উঠেছে। এজন্য ইইউ বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পরিচালন নিশ্চিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
