দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এলো নতুন এক পরিকল্পনা নিয়ে। তারা শীর্ষ ১৭ কর কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সম্পদ ও দায়-দেনার হিসাব পরীক্ষার জন্য অফিসে চিঠি পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর মাধ্যমে নিখুঁতভাবে যাচাই করা হবে এই কর্মকর্তাদের অবৈধ ও অপ্রত্যাশিত আয়ের সম্পদ অর্জনের অভিযোগ কি সত্যিই ভিত্তিহীন, না কি তারা জালিয়াতির মাধ্যমে বরাবরই বেশি সম্পদ সঞ্চয় করে থাকেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের সদর দফতর থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আকতার হোসেন। তিনি জানান, আইন অনুযায়ী দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৬ (১) ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা ২০০৭-এর ১৭নং বিধির ভিত্তিতে, নির্দিষ্ট ধাঁচে তাদের সম্পদ ও দায়-দেনার বিশদ বিবরণ জমা রাখার জন্য আদেশ জারির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন, এই ১৭ কর্মকর্তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন কর কমিশনার, কর আপিল ট্রাইব্যুনালের সদস্য, আয়কর গোয়েন্দা ইউনিটের কর্মকর্তা, ভ্যাট গোয়েন্দা বিভাগের নেতৃস্থানীয় কর্মকর্তা, বিভিন্ন কর অঞ্চল ও কাস্টমস বিভাগের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা। এঁদের মধ্যে প্রায় সব ধরনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা আছেন। এর মধ্যে দুদকের পূর্বে অনুসন্ধান চলাকালীন অভিযোগও জমা পড়েছিল, যেখানে বলা হয়, কিছু অসাধু কর্মকর্তারা মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে কর ফাঁকি দেওয়ার সুবিধা করে দিচ্ছেন।
অভিযোগে বল হয়েছে, অনেকে কর ও শুল্ক আদায় থেকে নিজেদের লাভের জন্য পরিমাণ কম করে দেন বা ভুয়া দাখিল করেন, যার ফলে সরকার ভাণ্ডার বৈকল্পিক আয়ের থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বারবার। এ ধরনের কার্যকলাপ সত্যিই দেশের রাজস্ব সংগ্রহে বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করছে।
এখন দুদক এই কর্মকর্তাদের সম্পদ ও দায়-দেনার বিস্তারিত হিসাব তদন্তের জন্য আবেদন করবে, যাতে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায়। দেশের স্বার্থে এই তদন্ত গুরুত্বসহকারে নেওয়া হচ্ছে।