বৃহস্পতিবার, ২১শে আগস্ট, ২০২৫, ৬ই ভাদ্র, ১৪৩২

বৃহত্তর হলে নিজেদের ভুল বুঝতে পারবে সেনা সদস্যরা, তখন লজ্জিত হবে

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, এখন দেশের নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করতে সরকারকে সহযোগীতা করার জন্য সেনাবাহিনী সমস্ত প্রকার প্রস্তুতি নিয়েছে। গত কিছু সময় ধরে সেনাররা মাঠে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে, যা আগে এত দীর্ঘ সময়ের জন্য ছিল না। এ কারণে তাদের সঙ্গে সহনশীলতা ও সুসম্পর্ক বজায় রাখা জরুরি, যোগাযোগের দূরত্ব থাকলে তা কাটিয়ে উঠতে হবে।

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা সেনানিবাসে ‘অফিসার্স অ্যাড্রেস’ অনুষ্ঠানে সেনাসদস্যদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন সেনাপ্রধান। এই অনুষ্ঠানে পদস্থ কর্মকর্তা ও অন্যান্য সেনা সদস্যরা সরাসরি উপস্থিত ছিলেন, এছাড়াও অন্যান্য কর্মকর্তারা ভার্চুয়ালি যোগ দেন।

সেনাপ্রধান বিশেষভাবে উল্লেখ করে বলেন, ‘বর্তমানে দেশের জনগণ সেনা সদস্যদের দিকে আশাবাদী। আপনাদের ওপর নির্ভর করছে দেশের ভবিষ্যৎ। তাই দেশের প্রতি প্রেম ও আবেগের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং বাহিনীর চেইন অব কমান্ড অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। সেনাবাহিনী একটি প্রফেশনাল সংগঠন, যার জন্য পেশাগত মান বজায় রাখা আবশ্যক। মাঠে দায়িত্ব পালনের সময় পেশাদারিত্বের পরিচয় দিতে হবে এবং কোনো প্রতিশোধমূলক কাজের সঙ্গে জড়াতে নিষেধ।’

বাংলাদেশ সেনা সম্পর্কে কিছু অপপ্রচার ও কটূক্তির জবাবে তিনি বলেন, ‘এসব মন্তব্যে অখুশি হওয়ার কিছু নেই। যারা এসব করছে, তারা এখনো যুবক, তাদের বয়স কম। বড় হয়ে গেলে তাদের নিজের ভুল বুঝতে সময় লাগবে, তখন তারা নিজেই লজ্জিত হবে।’

নাম না বললেও তিনি আরও জানান, একজন সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দল সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। অভিযোগ সত্য হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেনাবাহিনীর কেউই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়াতে পারবে না। এছাড়াও, অন্য এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগও তদন্তে রয়েছে। নৈতিক অবক্ষয়ের বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। মিডিয়া ট্রায়াল নয়, প্রমাণের ভিত্তিতেই প্রতিটি অভিযোগের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান উর্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘একজন সেনা কর্মকর্তাকে গড়ে তোলায় রাষ্ট্র প্রচুর অর্থ ব্যয় করে। তাই কেউ যেন দোষে জড়িয়ে না পড়ে, সেবিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যদি কেউ অপরাধে লিপ্ত হয় এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে বাড়ি পাঠানো হয়, তবে সেটি রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় ছাড়া কিছু নয়।’

পোস্টটি শেয়ার করুন