বৃহস্পতিবার, ২১শে আগস্ট, ২০২৫, ৬ই ভাদ্র, ১৪৩২

তারেক রহমানের আহ্বান: প্রচলিত রাজনীতির পরিবর্তনে বাস্তবমুখী পরিবর্তন আনা দরকার

প্রতিরোধ, প্রতিহিংসা ও কথামালার রাজনীতির পরিবর্তে বাস্তব ভিত্তিতে পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা কার্যকর করার মাধ্যমে প্রচলিত রাজনীতির ধারায় গুণগত পরিবর্তন ঘটানো জরুরি বলে মনে করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রবিবার রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করে তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, “প্রত্যেক মা-বাবা চান তার সন্তানের জন্য একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ নির্মিত হোক। প্রতিটি পরিবারই তাদের স্বপ্ন ও প্রত্যাশা অনুযায়ী জীবন গড়ে তুলতে চায়। এই উদ্দেশ্য নিয়ে বিএনপি শিগগিরই নতুন রাজনৈতিক পরিকল্পনা ও কর্মসূচি গ্রহণ করছে, যা দেশের উন্নয়ন ও মানবাধিকার ভিত্তিক।”

তিনি আরও বলেন, “বর্তমান প্রজন্মের নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হলে আমাদের প্রচলিত রাজনীতির ধরন থেকে বের হতে হবে। ব্যক্তিপরবাদ, অপ্রয়োজনীয় কথাকুম্ভ এবং অহেতুক প্রতিহিংসা পরিহার করে বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নেই দেশের রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন সম্ভব।”

তারেক রহমান উল্লেখ করেন, “বিশ্ব এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের যুগে প্রবেশ করছে, যেখানে নতুন চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলা আমাদের জন্য অপরিহার্য। বিএনপি ইতোমধ্যেই বিভিন্ন ক্ষেত্রের পরিচিতি চিহ্নিত করে বাস্তবসম্মত ও সুচিন্তিত পরিকল্পনা তৈরি করছে।”

শিক্ষাবিষয়ে তাঁর বলেন, “ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা জীবন শেষে অথবা অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে পড়ে বেকার হয়ে যাওয়া থেকে রেহাই দিতে আমরা বলব, স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক ও কারিগরি শিক্ষাও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। এই নির্বাচন দেশের জনগণের জন্য মতপ্রকাশের একটি সুযোগ সৃষ্টি করবে, যাতে তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। তবে গণতন্ত্র রক্ষায় কিছু ফ্যাসিস্ট অপশক্তি চাইলে এই নির্বাচনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে—এমন মত প্রকাশের বিষয়েও তিনি সতর্ক করেছেন।

তিনি দেশের সব রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে আহ্বান জানান, ‘দূরত্ব ও বিভেদ সৃষ্টি হলে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র বিরোধী শক্তিগুলোর পুনরুত্থান সহজ হবে। তাই সকলকে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে গণতন্ত্র ও গণআন্দোলনের মুখোশ পরিহার করে বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করতে না পারে।’

পোস্টটি শেয়ার করুন