প্রতিরোধ, প্রতিহিংসা ও কথামালার রাজনীতির পরিবর্তে দেশের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্য বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা প্রয়োগের মাধ্যমে exists রাজনীতির ধারাকে গুণগতভাবে পরিবর্তন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই মন্তব্য তিনি গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে করেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, মানসিকতা পরিবর্তনে সবাইকে একসঙ্গে এগোতে হবে। তিনি emphasized করেন, প্রত্যেক মা-বাবার চাওয়া, পাওয়া এবং স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে সরকারের পরিকল্পনা ও কর্মসূচি এগিয়ে নেওয়া জরুরি। সঙ্গে বলেন, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও সুখী ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হলে আদর্শ ও বাস্তবমুখী রাজনীতি ছেড়ে পরিবর্তন আনতে হবে। তারেক রহমান আরও বলেছেন, ‘প্রতিরোধ, প্রতিহিংসা ও গল্পগুজবের রাজনৈতিক স্টাইল থেকে সরে এসে বাস্তবমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাজনীতির ধারাকে উন্নত করতে হবে। তিনি জানান, বিশ্ব এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) যুগে প্রবেশ করছে। এই যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের অগ্রগামীর ভূমিকা পালন করতে হবে। বিএনপি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সেক্টর চিহ্নিত করে সুনির্দিষ্ট ও সুচিন্তিত পরিকল্পনা তৈরি করছে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষ করে বা বাদ পড়ে যেন বেকার না থাকে, সে জন্য একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যবহারিক ও কারিগরি শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, অন্তবর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে সম্ভাব্য নির্বাচনের সূচি নির্ধারণ করেছে, যা দেশের জনগণের জন্য এক যুগের বেশি সময়ের পরে তাদের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের সুযোগ করে দেবে। তবে নির্বাচনের তারিখ নিয়ে কিছু বিরোধী দলের প্রশ্ন থাকলেও, তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। দেশের সব রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে তিনি সতর্ক করে বলেন, দূরত্ব বাড়ানো কোনওভাবেই স্বস্তিদায়ক নয়; এর মাধ্যমে দেশের ফ্যাসিস্ট চক্রের পুনর্বাসনের সুযোগ তৈরি হবে। সবাইকে সজাগ ও সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে ঐক্য প্রয়োজন।
