বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়ার পরিকল্পনা শুরু করেছে। এর মধ্য দিয়ে দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা আধুনিকায়নের পথে এগিয়ে যেতে চাইছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী ২৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত হওয়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। এর আগে ১৩ আগস্টের সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হলেও, ব্যাংকখাতের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে কিছু পরিচালক নতুন ব্যাংকের অনুমোদনের পক্ষে মত দেননি।
২০২৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকার প্রথম বারের মতো ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য আবেদন আহ্বান করে। তখন ব্যাপক আগ্রহে ৫২টি আবেদন জমা পড়ে। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে ৯টি সংস্থাকে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। সেই সময় নগদ ও কড়ি ডিজিটাল ব্যাংক ছাড়াও স্মার্ট ডিজিটাল ব্যাংক, নর্থ ইস্ট ডিজিটাল ব্যাংক এবং জাপান-বাংলা ডিজিটাল ব্যাংককে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওএল) দেওয়া হয়। অন্যদিকে, বিকাশ, ডিজি টেন এবং আরও কিছু ডিজিটাল ব্যাংককে পৃথক লাইসেন্স না দিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রমের জন্য আলাদা উইং খোলার অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের আবেদন বাতিল করা হয়।
সূত্রের দাবি, প্রাচীন সময়ে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে ডিজিটাল ব্যাংক অনুমোদন দেওয়া হলেও, এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনেক সুস্পষ্ট ও কঠোর মানদণ্ডে আবেদন গ্রহণ ও যাচাই করছে। বর্তমানে অবকাঠামো ও নিরাপত্তার উন্নতি ও যথাযথ মানদণ্ড নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের ব্যাংকিং ভবিষ্যতকে আরও স্বচ্ছ ও আধুনিক করা হবে বলে আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।