ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে টানা চার কার্যদিবসের উত্থানের পর বুধবার অর্থনৈতিক সূচক ও লেনদেনে নেতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। মূলত সূচকের পতন এবং বারে বারে কমে যাওয়া কোম্পানির শেয়ার দাম ট্রেডিং প্যানেলে চোখে পড়ে।
শুরুতে উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু হলেও দুপুরের পরে ঢাকার স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক ধীরে ধীরে পতনের দিকে ক্ষণে ক্ষণে ফিরে যেতে দেখা গেছে। দিনের آخرের দিকে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স হয়েছে ৩১ পয়েন্ট কমে। একইভাবে ডিএসইএস কমেছে ১১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ বা ব্লু-চিপ শেয়ার আরও ১৮ পয়েন্টের পতন হয়েছে।
মোট ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে অধিকাংশের। অন্যদিকে, ১২৪ কোম্পানি তাদের শেয়ারের দর বাড়িয়েছে, কিন্তু ২২৩ কোম্পানির দাম কমে গেছে। অপরিবর্তিত রয়েছে ৫১ কোম্পানির শেয়ার দর। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দেখা যায়, এ, বি এবং জেড ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে।
বেশিরভাগ শেয়ার দর কমলেও, ‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১৯ কোম্পানির মধ্যে ৭২ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। তবে, ১২৩ কোম্পানির দর কমেছে। এ ক্যাটাগরির আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো, ২৪ কোম্পানির শেয়ার দর অপরিবর্তিত থাকলেও রীতিমত লভ্যাংশের চোখে পড়ে।
বৃহৎ ব্লক মার্কেটে ২৯ কোম্পানি ২৩ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রয় করেছে। এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ সবচেয়ে বেশি ১০ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রয় করেছে।
লেনদেনের দিক থেকে, ডিএসইতে সারাদিনে মোট ৯৫০ কোটি টাকার শেয়ার ক্রয় ও বিক্রি হয়েছে, যা আগের দিনের তুলনায় কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৭ কোটি টাকায়। আলোচ্য দিনে শীর্ষে রয়েছে ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্ক লিমিটেড, যার শেয়ারের দাম ১০ শতাংশ বেড়ে গেছে। পক্ষাঘাতে বোঝা যায়, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের দর ৭ শতাংশের ওপর কমে গেছে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও দেখা গেছে পতনের প্রবণতা। সূচকের পরিমাণ ৭৫ পয়েন্ট কমে গেছে।
সংখ্যা অনুযায়ী, ২২৮ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৯০টির, কমেছে ১০৯টির, এবং অপরিবর্তিত আছে ২৯টির শেয়ার। সাম্প্রতিক দিনের লেনদেনও কমে এসেছে, যেখানে মোট ৯ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেনে জড়িত হয়েছে। গত দিনের তুলনায় এ সংখ্যা অর্ধেকের চেয়েও কম।
চট্টগ্রামেও শীর্ষে রয়েছে ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, যার শেয়ার দর ১০ শতাংশ বেড়ে গেছে। আবার, মেট্রো স্পিনিং লিমিটেডের দর ৯ শতাংশের ওপর কমে গেছে।