টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সমাজের চোখে পড়েছে সরকারি বিদব্লিউবি (VWB) চালের কার্ড বিতরণের একটি ঘটনা, যেখানে স্বয়ং ইউপি সদস্যই অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার দ্বিপ্রহর Moments এ, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে চালের কার্ড বিতরণের সময় ঘটনাটি ঘটে, যখন একজন মহিলা ইউপি সদস্য উত্তেজিত হয়ে গোটা কার্ডের নমুনা পানিতে ফেলে দেন। ওই মহিলার নাম নাসরিন পারভীন কবির, তিনি হ্নীলা ইউনিয়নের ৩, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন। তিনি জানান, ঘটনাটি তিনি কিছুদিন ধরে নজরদারিতে রেখেছেন, এবং তিনি জানিয়েছেন যে, অভিযুক্ত মহিলা নিজের নামে এবং আত্মীয়-স্বজনের নামে একাধিক চালের কার্ড নিয়েছেন। কিছু কার্ড বিতরণের সময় উত্তেজিত হয়ে দুই শতাধিক কার্ড পানিতে নিক্ষেপ করেন। এই বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত শুরু করা হয়েছে, এবং প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, মহিলাসহ তার আত্মীয়-স্বজনের নামে মোটা অঙ্কের চালের কার্ড বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে, যা সরকারি নিয়মের বিরুদ্ধে। ঘটনার মুহূর্তে স্থানীয়জনরা ক্ষোভ প্রকাশ করে, জানিয়েছে, এইসব কার্ড মূল দরিদ্র জনগণের হাতে না গিয়ে প্রভাবশালী ও আত্মীয়-স্বজনদের দখলে চলে যায়। সামাজিক মাধ্যমে ঘটনাটির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যায়, তাঁরা সরকারি চালের কার্ড ছিঁড়ে পানিতে ফেলে দিচ্ছেন। এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ আরও বাড়ে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলছেন, সরকারের নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই চালের কার্ড বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়, যেখানে প্রকৃত দরিদ্ররা বাদ পড়ে, এবং স্থানীয় প্রভাবশালীরা সুবিধা নেন। মোঃ জুনায়েদ বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে গরিব ও অসহায় মানুষের জন্য ৩০ কেজি চালের কার্ড বরাদ্দ দেয়া হয়, কিন্তু ওই ইউপি সদস্য নিজের সুবিধার জন্য নিজের, মেয়ের ও স্বজনের নামে কার্ড নিয়েছেন। এভাবে গরিবের ভাগ্য অন্ধকারে চালানো হচ্ছে। আমরা এই অনিয়মের সুষ্ঠু তদন্ত ও কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
