বুধবার, ২৭শে আগস্ট, ২০২৫, ১২ই ভাদ্র, ১৪৩২

সিরাজগঞ্জে দুদকের ১৮১তম গণশুনানি অনুষ্ঠিত

সিরাজগঞ্জে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ১৮১তম গণশুনানি সম্প্রত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে সরকারি সেবা গ্রহণে হয়রানি ও সেবা বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ধরা হয়। সকালে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলা এই গণশুনানিতে আবেগপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, দুদকের রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক মোঃ ফজলুল হক, মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মোঃ আখতার হোসেন ও মহাপরিচালক (তদন্ত ১) মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

অডিটোরিয়ামটি কানায় কানায় পূর্ণ হয় বিভিন্ন পেশার মানুষ, ছাত্র ছাত্রীর পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি, সহকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে। দাখিলকৃত ১৩৪টির মধ্যে উত্থাপিত হয় ৯৫টি অভিযোগ, যার মধ্যে সরাসরি বিচার ও দ্রুত নিষ্পত্তি করা হয় ৩৪টি অভিযোগ। ৩২টি অভিযোগের তদন্তের জন্য দুদকের বিভাগীয় পর্যায়ে অনুসন্ধান চলবে। অপর ২৬টি অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কারান্তরীণের নির্দেশ দেয়া হয়, আর ৩টি অভিযোগের বিষয়ে আদালত Decision অপেক্ষমাণ রয়েছে।

দুদক পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয় আয়োজন করে এই গণশুনানির। সভাপতিত্ব করেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন দুদকের রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক মোঃ ফজলুল হক, মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মোঃ আখতার হোসেন ও মহাপরিচালক (তদন্ত ১) মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবর আজিজী বলেন, দুর্নীতি সুনীতির অভাবে সংঘটিত হয়। দুর্নীতির মূল কারণ হলো সেবাদাতা ও সেবা গ্রহণকারীর মধ্যে দ্বন্দ্ব, অনৈতিক কার্যকলাপ ও সুবিধা অপব্যবহার। তিনি আরও বলেন, পূর্ববর্তী সরকারের দুর্নীতির প্রভাব এখনও দেশবাসীর মনে টের পাওয়া যায়। আসছে দিনগুলোতে দুদক জিরো টলারেন্স নীতিতেই থাকবে এবং দুর্নীতি বন্ধ করে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।

এই গণশুনানির মাধ্যমে সাধারণ মানুষ তাদের সরকারি সেবা প্রাপ্তিতে যে অভিযোগ বা হয়রানি সম্মুখীন হচ্ছেন, তা সরাসরি কমিশনের নজরে আনা হয়েছে। স্থানীয় বিভিন্ন দপ্তর ও কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অভিযোগগুলো তুলে ধরা হয়, যাতে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হয়। দুদক আশা করছে, এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে দেশ থেকে দুর্নীতির শেষ নেইর অনিয়ম দূর করে শান্তিপূর্ণ ও স্বচ্ছ পরিবেশ সৃষ্টি হবে।

পোস্টটি শেয়ার করুন