আড়াই বছর পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি আবার শুরু হয়েছে। প্রথম চালানে ভারতীয় একটি ট্রাকে ১৫ টন পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ করলো। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, কারণ দীর্ঘদিন ধরে এই আমদানি বন্ধ থাকায় পেঁয়াজের বাজারে অস্থিতিশীলতা ও দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছিল। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে বেনাপোল বন্দরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী শ্যামল কুমার নাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গতকাল (সোমবার) রাতে প্রথম চালানে ভারতীয় পেঁয়াজ বোঝাই একটি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। আমদানির মান পরীক্ষা পরে পণ্যটি খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়। সেটি ভারতীয় ন্যাশনাল ট্রেডিং করপোরেশন থেকে আসে এবং বাংলাদেশ বাগেরহাটের এসএম ওয়েল ট্রেডার্সের মাধ্যমে আমদানি করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে বেনাপোল দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। এ সময় সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে দেশের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে অনেক দিন পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ রাখা হয়। তবে পরে ভারতেও রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। তবে বর্তমানে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা পূরণে পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে, আবার বাজারে সরবরাহও স্বাভাবিক থাকতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় সাধারণ মানুষ ব্যবহার ঝুঁকিতে পড়তেন। এই পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য আবার পেঁয়াজ আমদানি অনুমতি দিয়েছে।
কাস্টমস সূত্র জানায়, পণ্যটি প্রতি টন ৩০৫ ডলার মানদণ্ডে আমদানি করা হয়েছে, যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৩৭ হাজার ৪২৯ টাকা। বাজারে পেঁয়াজের দাম বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার রাজন হোসেন জানান, কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পেঁয়াজের চালানটি দ্রুত খালাসের জন্য মাঠের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটা দেশের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ, যা বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনবে বলে মনে করা হচ্ছে।