দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির হার বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের রাজস্ব আয়েও ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। চলতি অর্থবছরের ৩০ জুন থেকে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য ভারতে রপ্তানির সূচনা হয়। শনিবার হিলি স্থলবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার এএসএম আকরম সম্রাট জানান, জুন থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত এই সময়ের মধ্যে বন্দর দিয়ে মোট দুই হাজার ৯১ টন পণ্য ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার প্রায় ১৭ লাখ ১০ হাজার ৫০০ ডলার বা বাংলার ভাষায় প্রায় ২০ কোটি টাকা আয়ের সুযোগ পেয়েছে। খবর বাসস। তিনি আরও বলেন, বিগত কয়েক বছর হিলি বন্দর দিয়ে কোনও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পণ্য ভারতে রপ্তানি সম্ভব হয়নি। তবে এখন দেশের বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে এই রপ্তানি বাড়ছে। যদিও হিলি বন্দর মূলত আমদানি কেন্দ্র হলেও রপ্তানির পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং দেখা গেছে যে রপ্তানির পরিমাণের প্রায় ৭০ শতাংশ পণ্য মূলত ভারত থেকে আমদানি হয়। ভারতের ব্যবসায়ীরা হিলি বন্দর দিয়ে রাইস ব্রান (তুষের তেল), টোস্ট বিস্কুট, ম্যাংগো জুস, ঝুট কাপড়, নুডুলস ও অন্যান্য বেকারি পণ্য বহন করছেন। হিলি স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস রহমান জানান, এই বন্দরের মাধ্যমে ভারতের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, ফলে বৈদেশিক মুদ্রার আয়ও বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি বহু শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। তবে বন্দরের ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশের অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যা সমাধান হলে ভবিষ্যতে রপ্তানির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে। প্রথমদিকে রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এখন আবার অনেক পণ্য ভারতে রপ্তানি হচ্ছে। কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দীন বলেন, দীর্ঘদিন এই বন্দরে রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও এখন পণ্য রপ্তানি পুনরায় শুরু হয়েছে। কাস্টমস বিভাগ সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করে পণ্য রপ্তানিতে সহায়তা করছে।
