বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ও পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দরে পরিদর্শন করেছেন। এই সফরের সময় তারা বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে, চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শনের আগে বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান তাদের বন্দরের সার্বিক অবস্থা, কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং, শ্রম ব্যবস্থাপনা, বিদেশি বিনিয়োগ, অটোমেশন ইত্যাদি নানা বিষয়ে বিস্তারিত অবহিত করেন। তিনি জানান, গত বছর বন্দরে রেকর্ডসংখ্যক কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে এবং জাহাজের ওয়েটিং টাইম শূন্য থেকে দুই দিনে নামানো সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি, জাহাজের গড় অবস্থানকাল কমে এসেছে এবং অটোমেশন ও ডিজিটালাইজেশনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী এ অগ্রগতিগুলি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, করাচি পোর্ট ট্রাস্টে হাচিসন পোর্ট গ্রুপ একটি কনটেইনার টার্মিনাল চালাচ্ছে, আবুধাবি পোর্ট কর্তৃপক্ষ একটি বাল্ক টার্মিনাল পরিচালনা করছে এবং পোর্ট কাশিমে ডিপি ওয়ার্ল্ড দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি নিয়ে কাজ করছে। তিনি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল ও تجارت বৃদ্ধি এবং পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করার আশ্বাস দেন। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। পরিদর্শনের সময় পাকিস্তানি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বন্দরের বিভিন্ন কার্যক্রম সরেজমিনে ঘুরে দেখেন, যেখানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান দূতাবাসের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ দূত জেইন আজিজ, বাণিজ্যিক সহযোগী ওয়াকাস ইয়াসিন, বাংলাদেশের অতিরিক্ত সচিব ড. নাজনিন কাউসার চৌধুরী, বে টার্মিনালের প্রকল্প পরিচালক কমডোর মো. মাহফুজুর রহমান ও বন্দরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
