সোমবার, ১লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৭ই ভাদ্র, ১৪৩২

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ সম্প্রতি আবার ৩১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। গতকাল বুধবার দিনের শেষে এই রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩১ বিলিয়ন ৩৩ লাখ ডলার। যেখানে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর হিসাব পদ্ধতি বিপিএম–৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এসেছে ২৬ বিলিয়ন ৩১ লাখ ডলার। এর আগের দিন রোববার এই গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৮৬ বিলিয়নের মতো, এবং বিপিএম–৬ হিসাব অনুযায়ী ছিল ২৫ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার।

দেশের অর্থনীতিতে কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের কারণে এই রিজার্ভ পুনরুদ্ধার হয়েছে। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ২০২ কোটি ডলার পরিশোধ করে, এর ফলে গ্রস রিজার্ভ কমে ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। পাশাপাশি, বিপিএম–৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৪ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার।

বিশেষ করে, রেমিট্যান্স প্রবাহে উচ্চ প্রবৃদ্ধি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণপ্রদান দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। গত জুনের শেষে এই রিজার্ভ বেড়ে ৩১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার হয়, যা গত ২৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এর আগে, ২০২৩ সালের মার্চের শুরুতে দেশের রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে গিয়েছিল। জুনের শেষে এই রিজার্ভ বিপিএম–৬ অনুযায়ী ছিল ২৬ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার, যেখানে ২০২৩ সালের জুনে তা ছিল ২৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন আইএমএফ-এর শর্ত মেনে বিপিএম–৬ হিসাব প্রকাশ করছে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। এরপর নানা অর্থনৈতিক চাপে ট্রেজারির বিকাশ বাধা হয়ে দাঁড়ানোর পর, গত জুলাই শেষে রিজার্ভ চলে আসে ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে। তবে সরকার দক্ষতা ও কঠোর নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডলার প্রবাহে ইতিবাচক পরিবর্তন আনায় প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পায়। দুর্বল হুন্ডি কার্যক্রমের কারণে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয় প্রায় ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছয়। চলতি অর্থবছরের ২০ আগস্ট পর্যন্ত রেমিট্যান্স প্রবাহের পরিমাণ ৪১২ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ে তুলনায় ১৯ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি।

পোস্টটি শেয়ার করুন