হিজবুল্লাহর মহাসচিব শেখ নাঈম কাসেম জোর দিয়ে বলেছেন, প্রতিরোধের যোদ্ধারা কখনোই আত্মসমর্পণ করবে না এবং ইসরায়েলি আগ্রাসনের সামনে নত হবে না। তিনি দাবি করেন, ‘প্রতিরোধই ইসরায়েলকে থামিয়ে রেখেছে, এবং এবার সম্ভবত সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতও আঘাতের শিকার হতে পারে।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘প্রতিরোধকে সমর্থন করা হলো মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন-ইসরায়েলি আগ্রাসন প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায়।’ এই বক্তব্য তিনি গত বুধবার মহানবী হিযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে টেলিভিশনে এক বক্তৃতায় দেন। কাসেম বলেন, ‘লেবাননের মূল সমস্যা হলো এর জনগণের মধ্যে জাতিগত ঐক্য গড়ে উঠেনি। হিজবুল্লাহ লেবাননের সার্বভৌমত্ব এবং ভূমির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নিজের নেতৃত্বে ত্যাগ স্বীকার করেছে।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘প্রতিরোধের মাধ্যমে ইসরায়েল বিরোধী শক্তি তৈরি হয়েছে এবং তারা তার লক্ষ্য অর্জনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ তিনি লেবানন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, ইসরায়েলি শাসনের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার। তিনি উল্লেখ করেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র চায় ইসরায়েল লেবাননকে নিয়ন্ত্রণে রাখুক’ এবং ‘মার্কিন ও ইসরায়েল চাই লেবাননের কোনো সামরিক শক্তি থাকুক না।’ তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, ‘হিজবুল্লাহ কোনভাবেই আত্মসমর্পণ করবে না।’ এর মধ্যে এখনো বলে থাকেন যে, মার্কিন-ইসরায়েলি আক্রমণ বন্ধ করতে হলে লেবাননের জাতীয় ঐক্য অত্যন্ত জরুরি।
কাতারের দোহায় ইসরায়েলি বিমান হামলার কথাও তিনি উল্লেখ করেন, যেখানে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত পরবর্তী লক্ষ্য হতে পারে।’ তিনি দাবি করেন, ‘বৃহত্তর ইসরায়েলি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তেল আবিব যে কোনও সময় সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকেও আক্রমণ করতে পারে।’ কাসেম বলছেন, একমাত্র প্রতিরোধই এই আক্রমন روکতে সক্ষম। এই খবরটি মেহর নিউজের nguồn থেকে নেওয়া হয়েছে।