রবিবার, ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২

উত্তর কোরিয়ায় বিদেশি নাটক-সিনেমা দেখা নিষেধ, মৃত্যুদণ্ড শাস্তি

বাংলাদেশে দেখা অথবা শেয়ার করার মতো বিদেশি নাটক ও সিনেমা দেখলে বা এ ধরনের কাজের জন্য উত্তর কোরিয়ায় কঠোর শাস্তি, সেজন্য মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দেওয়া হয়—এমন তথ্য প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের নতুন এক প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিম জং উনের নেতৃত্বে গত এক দশকে দেশটিতে প্রযুক্তিনির্ভর দমননীতি আরও কঠোর হয়েছে। খবর আল জাজিরার।

জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর জানায়, সাত দশকের বেশি সময় ধরে কিম পরিবারের শাসনাধীনের কারণে উত্তর কোরিয়ায় জনগণের ওপর ভয়, দমন-পীড়ন এবং অসহনীয় ভোগান্তি নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে উঠেছে। বিশ্বাসযোগ্য সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, কোভিড-১৯ মহামারীর সময়কার বিধিনিষেধের পরে এই দমননীতি আরও জোরদার হয়েছে এবং রাজনৈতিক ও সাধারণ অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে, দক্ষিণ কোরীয় জনপ্রিয় ক-ড্রামা দেখার বা শেয়ার করার জন্য অনেককাঁই মর্মান্তিক দণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি থেকে উদ্ভুত নজরদারি ব্যবস্থা এতটাই উন্নত হয়েছে যে, এখন নাগরিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র সরকারের নজরদারিতে। শিশুদেরও বাধ্যতামূলক শ্রমে নিয়োজিত করা হচ্ছে, যেমন কয়লাখনি বা নির্মাণকাজে। এ সবই বৈশ্বিক পর্যালোচনার অংশ হিসেবে উঠে এসেছে, যা এর আগের ২০১৪ সালের প্রতিবেদনে মৃত্যুদণ্ড, ধর্ষণ, নির্যাতন, অনাহার ও কারাজিমুক্তির মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝলক দেখায়।

জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক সতর্ক করে বলেছেন, ‘যদি উত্তর কোরিয়া এখনকার পথে চলতে থাকে, তবে জনগণ আরও বেশি নিষ্ঠুর দমননীতি ও ভয়াভয় ভোগান্তির শিকার হবে।’ তবে এখন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার জেনেভা মিশন কিংবা লন্ডন দূতাবাস থেকে এই প্রতিবেদন নিয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

পোস্টটি শেয়ার করুন