বুধবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২রা আশ্বিন, ১৪৩২

সম্পদ জব্দ নিয়ে ইউরোপকে রাশিয়ার কঠোর হুঁশিয়ারি

রাশিয়া সম্পদ জব্দের পরিকল্পনা নিয়ে ইউরোপকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে। দেশটি বলেছে, রাশিয়ার সম্পদ যদি এখনই দখলে নেওয়া হয় বা ব্যবহার করা হয়, তাহলে ইউরোপের কোনো দেশই নিরাপদ নয় এবং এর ফলস্বরূপ পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ান সামরিক অভিযানের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সাধারণ লেনদেন সীমিত করেছে। পাশাপাশি, রাশিয়ার প্রায় ৩০০ থেকে ৩৫০ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।

এখন ইউরোপীয়রা এই অমূল্য সম্পদ ইউক্রেনের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা के কাজে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন দের লিয়েন নতুন কোনো উপায় খুঁজছেন যাতে এই সম্পদগুলো ইউক্রেনের রক্ষা ও পুনর্গঠনে ব্যয় করা যায়।

এমন পরিস্থিতিতে গত সোমবার রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উপপ্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ কড়া সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, যদি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়, তাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহু দেশই রাশিয়ার পাল্টা নিপীড়নের শিকার হবে চলতি শতকের শেষ পর্যন্ত। তিনি আরও বলেন, রাশিয়া সম্ভাব্য সব ধরনের আন্তর্জাতিক ও দেশের আদালত, এমনকি আদালতের বাইরে গিয়ে ইউরোপের দেশগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে।

রাশিয়া জোর দিয়ে বলছে, তাদের সম্পদ দখল বা ব্যবহার করা মানে চুরি করা, যা বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে। আবার ইউরোপীয়রা যুক্তিযুক্তভাবে বলছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে মারাত্মক এই যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকেই দায়ী করছে। তাই মস্কোকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য চাপ তৈরি করতে বাধ্য হবে ইউরোপ।

অন্যদিকে, কিছু ব্যাংকার সাবধান করে বলেছেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ জব্দের এই সিদ্ধান্ত বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য এক ধরনের সতর্কসংবেতা হতে পারে। এর ফলে দেশের অর্থনীতি ও বিনিয়োগে আস্থা কমে যেতে পারে, যা বিশ্ব অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করা হচ্ছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন