আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা। গতকাল বুধবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ নিশ্চিত করেছেন যে, শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এবার ভোটদান করতে পারবেন না। এর কারণ হিসেবে জানানো হয়, এপ্রিল মাসে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ‘লক’ করা হয়েছে, যার ফলে তারা প্রবাসে বসে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন না।
ইসি সচিব আরও উল্লেখ করেন, ‘যাদের এনআইডি লক আছে, তারা কেউই প্রবাসে বসে ভোট দিতে পারবেন না।’ এতে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা, সজীব আহমেদ ওয়াজেদ, সায়মা ওয়াজেদ, শেখ রেহানা, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক, শাহিন সিদ্দিক, বুশরা সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ আরও বেশ ক’জন শেখ পরিবারের সদস্যের এনআইডিও ‘লক’ করা হয়েছে।
এনআইডি লক থাকায় তারা দেশের বাইরে থাকলেও এবার তারা ভোট দিতে পারবেন না। এর অংশ হিসেবে ইসি সচিব জানিয়েছেন, সংসদ নির্বাচনে তারা দেশের অভ্যন্তরীণ ও বাইরের ভোট গ্রহণের জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে। যারা প্রবাসে আছেন, তারা অনলাইনের মাধ্যমে এনআইডি নম্বরের ভিত্তিতে নিবন্ধন করতে পারবেন। এই সিস্টেমটি উন্নয়নের underway চলছে।
প্রশ্নে—শেখ হাসিনা কি এবার ভোট দিতে পারবেন? এর উত্তরে ইসি সচিব বলেন, ‘তার এনআইডি লক থাকায় তিনি ভোট দিতে পারবেন না।’ তবে অভিযোগ বা অন্য কোনো কারণে বিদেশে অবস্থান করছেন, তাদের জন্য ভোটি দেওয়ার সমস্যা নেই, যদি তারা তাদের এনআইডি আনলক করে থাকেন।
ওটিই নিশ্চিত করে বলা হয়, প্রবাসে বসে ভোট দিতে হলে শুধুমাত্র এনআইডির মাধ্যমে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে, পাসপোর্টের প্রয়োজন হবে না। এর জন্য তাদের এনআইডি অবশ্যই আনলক থাকতে হবে। লক থাকলে নিবন্ধন করা সম্ভব হবে না।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগস্ট বিভিন্ন ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ও তার সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা দেশত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীও বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা ও নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে কিছু প্রশ্ন উঠছে।