বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দ্বিতীয় দফায় ১২ দিনের যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, যা প্রধানত পিআর পদ্ধতির দাবিতে এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সঙ্গে সংযুক্ত। এই আন্দোলনের লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের মধ্যে এই আদর্শের সমর্থন বৃদ্ধি করা এবং জাতীয় নির্বাচনের ধারাকে প্রভাবিত করা।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, এই কর্মসূচির আওতায় ১ অক্টোবর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গণসংযোগ, মতবিনিময় সভা, গোলটেবিল বৈঠক ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ১০ অক্টোবর রাজধানীসহ দেশের সব বিভাগীয় শহরে ব্যাপক গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে। ১২ অক্টোবর সারাদেশের জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।
জামায়াতের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
1. আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন should be based on July সনদসাপেক্ষে।
2. নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে পিআর পদ্ধতি অনুযায়ী পরিচালিত করতে হবে।
3. সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।
4. গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচার দ্রুত ও দৃশ্যমানভাবে পরিচালিত করতে হবে।
5. ভারতের দানবীয় কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত এমন রাজনৈতিক দল ও তাদের দোসর, বিশেষ করে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলকে বিচার করতে হবে ও এই সময়ে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের সহকারী সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, অন্যরা ছিলেন ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোমাইন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের নায়েবে আমির আবদুর রহমান মূসা প্রমুখ।