ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে হংকং চায়নার স্থান ১৪৬তম, যেখানে বাংলাদেশ ৩৮ ধাপ পেছিয়ে রয়েছে। এই র্যাঙ্কিং শুধুমাত্র এক সংখ্যা, তবে তা বোঝায় যে হংকংয়ের চেয়ে বাংলাদেশ কতটা এগিয়ে। ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ৯ অক্টোবর শুরু হতে যাচ্ছে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের খেলা, যেখানে বাংলাদেশ হংকং চায়নার মুখোমুখি হবে।
ফুটবলাররা গত সোমবার ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন। তবে বৃষ্টির কারণে প্রথম দিনের অনুশীলন কিছুটা ব্যাহত হয়। এর আগের দিন, তপু বর্মণ ও সোহেল রানারা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মাঠে অনুশীলন শেষ করতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ দলের গোলরক্ষক মিতুল মারমা নিজেকে প্রস্তুত করছেন এবং বললেন, ‘আমাদের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। যত দ্রুত সম্ভব নিজেদের প্রস্তুত করে সেরাটা প্রদর্শনের লক্ষ্য রয়েছে। কোয়ালিফাই করতে হলে এই দুটি ম্যাচ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। র্যাঙ্কিং নিয়ে ভাবছি না, মূল লক্ষ্য জয় অর্জন।’
চোটের কারণে নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলতে পারেননি মিতুল। প্রতিযোগিতা বাড়ছে, তাই তিনি বলছেন, ‘হংকংয়ের বিরুদ্ধে ভালো কিছু করতে চাই। আমাদের সব পজিশনে কঠোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। এখানে কারো খামখেয়ালি থাকাটাই সম্ভব নয়। আমরা এই ম্যাচের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি আমার সেরাটা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। হোম ম্যাচটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
বর্তমান পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশের গ্রুপে তিনটি ম্যাচে মোট ১ পয়েন্টে থাকায় তারা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। হংকং চায়না দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে স্থান পেয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। পরবর্তী পর্বে উঠতে হলে, হংকংকে দুটো লেগে হারাতে হবে বাংলাদেশকে।
সোহেল রানার লক্ষ্য ঘরের মাটিতে জয় লাভ, তিনি জানান, ‘আমরা দেশের জন্য ভাল ফল দিতে চাই। কোচ এর জন্য কঠোর পরিশ্রম করছেন। হংkংয়ের বিরুদ্ধে মাঠে জেতা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দর্শকের সমর্থনে আমাদের মনোবল আরও বাড়বে।’
যদিও হংকং শক্তিতে বাংলাদেশে এগিয়ে, সোহেল রানা আত্মবিশ্বাসী, ‘আমরা যদি নির্ধারিত কাজগুলো ঠিকভাবে নেই, তাহলে কঠিন হয়ে যাবে। তবে আমি বিশ্বাস করি, আমাদের জেতার মতো দল রয়েছে।’
নিজেদের মাঠের সুবিধা কাজে লাগাতে চান বাংলাদেশ, যেখানে ৩০ মিনিটের মধ্যে ১৮ হাজার টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। আত্মবিশ্বাসে ভরপুর, সোহেল রানা বলেন, ‘দর্শকদের সমর্থন আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগের ম্যাচে যেমন দর্শক এসে আমাদের উৎসাহ জুগিয়েছেন, এ বারও তাই হবে।’