মঙ্গলবার, ৭ই অক্টোবর, ২০২৫, ২২শে আশ্বিন, ১৪৩২

নির্বাচনের আগে গণভোট চান জামায়াত

বাংলাদেশের দলটি নির্বাচন শেষে ব্যবস্থাপনা ও আইনি বাস্তবতার জন্য নির্বাচনের পূর্বে একটি গণভোটের প্রস্তাব রেখেছে। জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সাধারণ সম্পাদক হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, জুলাই মাসে জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য আইনি ভিত্তির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে গণভোটের ব্যাপারে সব রাজনৈতিক দল—বিশেষ করে বিএনপি—একসাথে মতামত ব্যক্ত করেছে। তবে, জামায়াতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, তারা চান নির্বাচনের আগেই এই গণভোটটি অনুষ্ঠিত হোক।

রোববার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় সনদের সংবিধানসংক্রান্ত প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে চলমান আলোচনা পর্যায়ের বিরতিতে এসব কথা বলেন হামিদুর রহমান আযাদ। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরো জানান, গণভোটের সম্ভাব্য সময় সম্পর্কেও তারা সুস্পষ্ট—নভেম্বর বা ডিসেম্বরে হতে পারে, কিছু সময়ের মধ্যেও। তিনি বলেন, ‘‘গণভোট যদি ফেব্রুয়ারির আগে হয়ে যায়, তাহলে আইনানুযায়ী নির্বাচনেও কোনো বাধা থাকবে না। সাধারণ মানুষকে জটিল পরিস্থিতিতে ফেলে না রেখে সরলভাবে এগোলে, আমরা এবং দেশের মানুষ উভয়ই নিরাপদ থাকব।’’

জামায়াতের এই নেতা জানান, গণভোটের ফলাফল যতই আসুক না কেন, তারা ফলাফলকে সম্মান করবে। তাদের বিশ্বাস, পার্লামেন্ট এটি প্রত্যাখ্যান করতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, ‘‘এটি যদি আমাদের বিপক্ষে যায়, তবুও আমরা জনগণের সিদ্ধান্তকে মান্য করব। আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না।’’

জি.এইচ. চৈত্রের প্রশ্নের উত্তরে তিনি স্পষ্ট করেন, গণভোট আগে বা পরে করো—এটি সবই আলোচনা সাপেক্ষ এবং সবাই এই বিষয়ে একমত। নির্বাচন কমিশন গণভোটের আয়োজন করবে, এই জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কমিশনকে নীতিনির্দেশনা দিতে হবে। এরপরই তারা এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খান ও দলের একজন আইনজীবী শিশির মনির।

পোস্টটি শেয়ার করুন