অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধার করার জন্য নির্বাচন যথেষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা হলো গণতন্ত্রের ফিরতি, যা শুধুমাত্র একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে সম্ভব। রোববার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতিসংঘের ঢাকাস্থ আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। আমীর খসরু বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে সামনে এগিয়ে নিতে রাজনীতি ও সম্পর্কের মধ্যে গঠনমূলক আলোচনাও খুব জরুরি। সবাইকে হাতে হাত রেখে রাজনীতি ও গণতান্ত্রিক চর্চা চালিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, এই বৈঠকে বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ভবিষ্যৎ নির্বাচন এবং দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যত নিয়ে গভীর আলোচনা হয়। এছাড়া, রোহিঙ্গা সংকট ও তাদের মানবেতর জীবন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমীর খসরু উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন ও মানবিক সহযোগিতা লক্ষ্য করে বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একসাথে কাজ করবে। যত দিন না তারা স্বেচ্ছায় ফিরতে পারবে, তত দিন এ বিষয়ক সমর্থন অব্যাহত থাকবে, বলে নিশ্চয়তা দিয়েছেন জাতিসংঘের প্রতিনিধি। তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ও পরবর্তীতে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় গোয়েন লুইসের ভূমিকা বাংলাদেশে স্বীকৃতি পেয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক সাংবিধানিক ও মানবাধিকার রক্ষার জন্য জাতিসংঘের এই প্রতিনিধি সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। এর জন্য আমরা তাঁর প্রতি ধন্যবাদ জানাই। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, যিনি পাররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টাদের মধ্যে অন্যতম।
