নেপালে গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে জেন-জি নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের সময় কারাগার থেকে পালানো ৫ হাজার ৫০০ এর বেশি বন্দী এখনও Authorities খুঁজছে। সোমবার নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এই তথ্য সংবাদমাধ্যম খবরহাবের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখনও ৫ হাজার ৫৪৭ বন্দী পলাতক রয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশ দেশব্যাপী কারাগার থেকে পালানো মোট ৯ হাজার ৮ জন বন্দীকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে বাকি পলাতকদের খুঁজে বের করতে কাজ তুঙ্গে। মন্ত্রণালয় এখন পলাতকদের বিশদ তথ্য প্রকাশের পরিকল্পনা করছে, যাতে দ্রুত তাদের সন্ধান পাওয়া যায়।
প্রথমে জানানো হয়েছিল, অস্থিরতার সময় প্রায় ১৪ হাজারের বেশি বন্দী, যার মধ্যে প্রায় ১ হাজার নাবালকও ছিল, কারাগার থেকে পলাতক হয়।
কাঠমান্ডু পোস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, পলাতকদের মধ্যে অনেকে খুন, ধর্ষণ, অপহরণ এবং মানব পাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিরা রয়েছেন। তাদের খুঁজে বার করতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ কঠোর হাতে কাজ করছে।
আইনি বন্দোবস্তের সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে, এই পলাতকরা দেশের নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে উঠতে পারে। তারা আঘাতের জন্য অপরাধমূলক গ্রুপ গঠন করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। যে সময় দুর্ব্যবহার চলছিল, সেই সময়ে অফিস ও ব্যারাক থেকে প্রায় ১,২০০টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং আনুমানিক ১ লাখ রাউন্ড গুলি চুরি হয়েছিল।
সেপ্টেম্বরের প্রথমার্ধে কাঠমান্ডু এবং দেশের অন্যান্য শহরে দুর্নীতি ও সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয় ছাত্র ও যুবদের প্রধান গ্রুপ জেনারেশন-জেড। বিক্ষোভের অংশ হিসেবে পার্লামেন্ট, সুপ্রিম কোর্ট ও অন্যান্য সরকারি ভবনগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এর ফলে দেশজুড়ে সহিংসতায় ৭০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারায় এবং এক হাজারের বেশি আহত হয়।
অপরদিকে, ১২ সেপ্টেম্বর নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান न्यायপতি সুশীলা কার্কিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী হিসেবে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে বসেন। কার্বি বলেন, বর্তমান সরকার কমপক্ষে ছয় মাসের জন্য ক্ষমতায় থাকবে এবং ২০২৬ সালের মার্চ মাসে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।