শুক্রবার, ১৭ই অক্টোবর, ২০২৫, ১লা কার্তিক, ১৪৩২

চট্টগ্রাম বন্দরে বর্ধিত ট্যারিফ কার্যকর

এক মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে, চট্টগ্রাম বন্দরে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকেই নতুন করে বর্ধিত ট্যারিফ কার্যকর করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে বন্দরে আগত সব জাহাজ, কনটেইনার ও কার্গো থেকে নতুন হারে শুল্ক আদায় শুরু হয়। বন্দরের অর্থ ও হিসাবরক্ষা বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আবদুস শাকুরের স্বাক্ষরিত নোটিশে জানানো হয়েছে, ১৫ অক্টোবর থেকেই এই বর্ধিত ট্যারিফ কার্যকর হবে। শিপিং এজেন্টদের বলা হয়েছে, তফসিলি ব্যাংকে নতুন হারে অর্থের ব্যবস্থা রেখে নৌযান ছাড়পত্র (এনওসি) নিতে হবে। সূত্র জানিয়েছে, বন্দরের মোট ৫২টি সেবা খাতের মধ্যে ২৩টিতে সরাসরি এই নতুন ট্যারিফ লাগু হয়েছে, যেখানে গড়ে প্রায় ৪১ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে কন্টেইনার-handling খাতে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি দেখা গেছে। একটি ২০ ফুটের কন্টেইনারের জন্য ট্যারিফ নির্ধারিত হয়েছে ১৬ হাজার ২৪৩ টাকা, যা আগে ছিল ১১ হাজার ৮৪৯ টাকা, অর্থাৎ এই ক্ষেত্রে প্রায় ৩৭ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি। আমদানি কন্টেইনারে এখন থেকে ৫ হাজার ৭২০ টাকা এবং রপ্তানি কন্টেইনারে ৩ হাজার ৪৫ টাকা বেশি দিতে হবে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ভাড়া, টোল, ফি ও মাশুল আদায় হবে ডলার মূল্যের ভিত্তিতে, যেখানে প্রতি ডলার মান ধরা হয়েছে ১২২ টাকা। ফলে ডলার দর বাড়লে, স্বাভাবিকভাবেই ট্যারিফও বৃদ্ধি পাবে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত ট্যারিফ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়, কিন্তু বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের আপত্তির কারণে নৌপরিবহন উপদেষ্টার নির্দেশে এক মাসের জন্য তা স্থগিত করা হয়। এক মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পরে, ১৩ অক্টোবর রাত থেকে নতুন হারে ট্যারিফ কার্যকর করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, ১৯৮৬ সালে প্রথম চট্টগ্রাম বন্দরে মাশুল বাড়ানো হয়েছিল, যা এবার ৩৯ বছর পর আবার বৃদ্ধি করা হয়েছে। তিনি যোগ করেন, ‘অপারেশনাল ব্যয়, রক্ষণাবেক্ষণ ও আধুনিকীকরণ খরচ পূরণের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

পোস্টটি শেয়ার করুন