অবশেষে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা করে নিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। গত বৃহস্পতিবার জাপানের বিপক্ষে ৮ উইকেটের জয়ে এই সুবিধা অর্জন করে তারা। এই জয় নিশ্চিত করে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের মূল পর্বের ২০ দলকে।
আসিয়া-পূর্ব এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের মধ্যে তিনটি দল এই বিশ্বকাপে নিশ্চিতে পরের ধাপ পার করল আরব আমিরাত। গত বৃহস্পতিবারের ম্যাচে জাপানের বিপক্ষে তারা টস হারার পর ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ১১৬ রান করে। জবাবে, ১২.১ ওভারেই ২ উইকেট হারিয়ে জয় স্মুথলি সম্পন্ন করে আরব আমিরাত। দলের সফলতম বোলার ছিলেন বাঁহাতি স্পিনার হায়দার আলী, যিনি ৩টি উইকেট নেন। এছাড়াও, আলিশান শারাফ (২৭ বলে ৪৬) এবং অধিনায়ক মুহাম্মদ ওয়াসিমের ক্যামিও ব্যাটিংয়ে ৪৭ বলের মধ্যে জেতার পথে এগিয়ে যায় দলটি।
এ অঞ্চলের আগে যারা ক্রিকেটের ছোট সংস্করণের বিশ্বকাপে স্থান পেয়েছে, তারা হলো নেপাল ও ওমান। বাছাইপর্বের সুপার সিক্স পর্বে পাঁচ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আরব আমিরাত রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে। অন্যদিকে, ৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে নেপাল, যেখানে একটি ম্যাচ কম খেলে ওমান আছে তৃতীয় স্থানে। চার ম্যাচে দুই পয়েন্ট করে নিয়ে যথাক্রমে কাতার ও জাপান অবস্থান করছে। তবে, তিন ম্যাচে হেরে কোন পয়েন্ট নেই সিনোয়ারের দলটির।
এটি তৃতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেবে আরব আমিরাত। এর আগে তারা আরো খেলেছে ২০১৪ ও ২০২২ সালে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে হবে এই বিশ্বকাপের মূল আসর। এই আসর যৌথভাবে আয়োজন করবে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। অন্য দেশের মূলপর্বে সরাসরি সুযোগ পাবে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে অংশ নেবে আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তান। এছাড়াও, বাছাই পর্বের মাধ্যমে আমেরিকা অঞ্চল থেকে জায়গা করে নিয়েছে কানাডা, ইউরোপ থেকে খেলবে ইতালি ও নেদারল্যান্ডস, আফ্রিকা থেকে নামিবিয়া ও জিম্বাবুয়ে, এবং এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দলগুলো হলো নেপাল, ওমান, এবং আরব আমিরাত।