বৃহস্পতিবার, ২৩শে অক্টোবর, ২০২৫, ৭ই কার্তিক, ১৪৩২

পরপর কন্যা সন্তানের জন্মের পর নবজাতককে খালে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে এক মা নবজাতককে খালে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শিশু জন্মের পরপরই বারবার কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়ার কারণে মা ক্ষুব্ধ হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ এখন অভিযুক্ত মা, শারমিন আক্তার (৩২),কে আটক করেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত সোয়া ১২টার দিকে। ওই দিন রাতে, শিশুটির বাবা ইব্রাহিম খলিল (৪২) থানায় এসে নবজাতকের নিখোঁজের বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে চান। কিন্তু তার বক্তব্য সন্দেহজনক মনে হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুর মা-sharmin- এর সঙ্গে কথা বলে।

জেরায়, শারমিন আক্তার স্বীকার করেন, তাদের ইতিমধ্যে দুই মেয়ে সন্তান আছে—একটি পাঁচ বছর এবং একটি দেড় বছর বয়সী। পরপর কন্যা সন্তান জন্ম নেওয়ার কারণে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। এই ক্ষোভের বশে তিনি নবজাতককে বাড়ির পাশের খাল에 না ফেলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

পুলিশ অনুসন্ধানে, শারমিনের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে খাল থেকে নবজাতকের মৃতদেহ উদ্ধার করে। ওই অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন যে শিশুটি মারা গেছে।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাইফুল ইসলাম জানান, মৃত নবজাতকের দাদি খাদিজা খাতুন থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার ধারায়, অভিযুক্ত মা-sharmin-কে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

এই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিঠুন সরকার, ডিবি ও পিবিআই কর্মকর্তারা, পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

পোস্টটি শেয়ার করুন