রবিবার, ২৬শে অক্টোবর, ২০২৫, ১০ই কার্তিক, ১৪৩২

সরকার এক লাখ টন সিদ্ধ ও আতপ চাল ক্রয়ে অনুমোদন দিল

সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এক লাখ মেট্রিক টন নন-বাসমতি ও আতপ চাল আমদানির জন্য অনুমোদন দিয়েছে, যার মূল্য প্রায় ৪৪৬ কোটি ২২ লাখ টাকা। পাশাপাশি, সার সরবরাহের শৃঙ্খল ও মজুত সুবিধা জোরদার করতে তিনটি দেশ থেকে মোট ১.০৫ লাখ মেট্রিক টন সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মিয়ানমার থেকে জি-টু-জি ভিত্তিতে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির জন্যও সম্মতি জানানো হয়েছে। এই চালের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২২৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা, যার প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ৩৭৬.৫০ মার্কিন ডলার। আমদানির প্রতিষ্ঠান হবে মিয়ানমার রাইস ফেডারেশন।

এছাড়া, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, চলতি অর্থবছর (২০২৫-২৬) এর জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল সংগ্রহের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই চালগুলো খাদ্য অধিদপ্তর আমদানী করবে, যার ব্যয় হবে ২১৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা, এবং প্রতি মেট্রিক টনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫৫.৯৯ মার্কিন ডলার। পূর্বাচলে দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এম/এস ক্রেডেন্টওয়ান এফজেডসিও।

অন্য এক গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব অনুযায়ী, মরক্কো থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যার ব্যয় হবে ৩৬০.০২ কোটি টাকা এবং একে সরবরাহ করবে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য নির্ধারিত হয়েছে ৭৩৫.৩৩ মার্কিন ডলার।

একইসাথে, রাশিয়া থেকে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানির জন্যও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যার মোট মূল্য ১৫২ কোটি ৬২ লাখ টাকা। এই সারার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হলো জেএসসি ‘ফরেন ইকোনমিক করপোরেশন (প্রোডিনটর্গ)’।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুসারে, সৌদি আরবের স্যাবিক অ্যাগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকেও পঞ্চম ধাপে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যার মোট মূল্য ১৫১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

এছাড়াও, বিভিন্ন স্থানে সার সংরক্ষণ ও বিতরণের জন্য ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণের পরিকল্পনাও অনুমোদন পায়। এর মধ্যে বরগুনার সাইটে মোট ১০ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতা সহ একটি গুদাম নির্মাণের জন্য ৫১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয় হতে পারে। দেশে সার সরবরাহের অবকাঠামো শক্তিশালী করতে এই প্রকল্পগুলোকে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

সর্বশেষ, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের জন্য চট্টগ্রামের মীরসরাই-২ ও ২-বি অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ২০৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই কাজে ঠিকাদার হিসেবে মনিকো লিমিটেড প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করা হয়েছে। সভায় বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আধুনিকীকরণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পাঁচটি নতুন ৩৩-১১ কেভি জিআইএস সাবস্টেশন কেনার প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা ও অনুমোদন দেওয়া হয়।

পোস্টটি শেয়ার করুন