শুক্রবার, ২৪শে অক্টোবর, ২০২৫, ৮ই কার্তিক, ১৪৩২

এশিয়ায় আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

সংবাদটি অনুযায়ী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্রুতই এশিয়া মহাদেশে একটি বড় সফরে রওনা হচ্ছেন। এই সফরটির মূল লক্ষ্য হল চীন ও অন্যান্য এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ জাতির নেতাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করা। বিশেষ করে, তিনি চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে প্রত্যাশিত একটি বৈঠক করবেন যা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।

গত বুধবার ট্রাম্প নিজে জানান, তার এই সফর এমএসিয়ান দেশ মালয়েশিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে। সফরের বেশিরভাগ সময়ে তিনি বিভিন্ন ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, কারণ হোয়াইট হাউস থেকে তেমন বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। এমনকি, চলমান উত্তেজনার কারণে তিনি আশঙ্কা করছেন যে, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে তার সির বৈঠকও অনির্দিষ্টকালের জন্য নাও হতে পারে।

তবুও, ট্রাম্প স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তিনি চীনের সঙ্গে একটি ভালো ও ফলপ্রসAdvertisingি চুক্তি সই করতে চান এবং বিশ্বজুড়ে দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের সমাপ্তি চান।

প্রথমে, তিনি ২৬ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মালয়েশিয়া পৌঁছাবেন, যা আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের এক অংশ। এই সম্মেলনে তিনি তার প্রথম উপস্থিতি দেখাচ্ছেন, কারণ প্রাথমিক সময়ে ট্রাম্প এই ধরনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বেশিই উৎসাহ দেখাতে চাইতেন না। মালয়েশিয়ার সাথে তিনি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য চুক্তি সই করতে প্রস্তুত আছেন। পাশাপাশি, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে আলোচনা চলছে, যা তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য তাঁর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেখছেন।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, ট্রাম্প থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে শান্তি আলোচনায় ইতিবাচক ফলাফল দেখতে আগ্রহী। তারা আশা করছেন যে, কয়েক মাসের উত্তেজনার পর এখন সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। এফপিকে দেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সম্ভবত এরই মধ্যে ট্রাম্প ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভার সঙ্গেও দেখা করতে পারেন।

তারপর, তিনি টোকিওর দিকে রওনা দেবেন, যেখানে তিনি জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানাই তাকাইচির সঙ্গে দেখা করতে পারেন। এই সপ্তাহে জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

সফরের চূড়ান্ত পর্ব হবে দক্ষিণ কোরিয়ায়। সেখানে তিনি ২৯ অক্টোবর এশিয়া-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে পৌঁছাবেন। এই বৈঠকের সময় তিনি শি চিনপিংয়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করার সম্ভাবনা রয়েছেন।

বিশেষ করে, এই সফরে ট্রাম্প ও শি’র বৈঠকের মাধ্যমে চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধের সমাধান হতে পারে বলে ধারণা। তবে, এর আগে ট্রাম্প একাধিকবার দ্বিধা প্রকাশ করেছেন, এমনকি বৈঠক বাতিলের হুমকি পর্যন্ত দিয়ে থাকেন। তিনি পরবর্তীতে বলেন, তিনি সবকিছু নিয়ে শি’র সঙ্গেও সমঝোতা করতে উৎসাহী। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এই আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের উপর চীনা নেতার প্রভাব বাড়ানো সম্ভব।

অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়াও এ সময় বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে থাকছে। ট্রাম্পের সফরের কয়েক দিন আগে, কিম জং উনের দেশ বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। ট্রাম্প আশা করছেন, তিনি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম সঙ্গেও দেখা করবেন, তবে এবারের সফরে হয়ত নতুন কোনো বৈঠক হয়নি বা হবে না।

পোস্টটি শেয়ার করুন