বুধবার, ২৯শে অক্টোবর, ২০২৫, ১৩ই কার্তিক, ১৪৩২

অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ হার এড়ালো ভারত, সিডনিতে দুর্দান্ত জয়ে রোহিত-কোহলি স্মরণীয়

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজ হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ালো ভারত। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এসসিজি) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ একদিনের আন্তর্জাতিক (ওডিআই) ম্যাচে গতকাল অস্ট্রেলিয়াকে নয় উইকেটে পরাজিত করেছে টিম ইন্ডিয়া। এই জয় ভারতের জন্য সমর্থকদের স্বস্তি এনে দিয়েছে, কারণ তারা সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ হেরে সিরিজ হেরবে বলে অনেকের আশঙ্কা ছিল। তবে এই জয়ে তরুণ ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়ে দারুণ এক আবেগময় মুহূর্ত সৃষ্টি করেছেন। 

অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২৩৭ রানের লক্ষ্য অতিক্রম করতে ভারত মাত্র একটি উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে। এই সাফল্যের মূল কারিগর ছিলেন দুই অভিজ্ঞ তারকা, রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি। রোহিত তার ৩৩তম ওডিআই শতক (অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নবম) পূর্ণ করেন ১০৫ বলে, যা দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। অন্যদিকে, সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে আফসোসের মতো শূন্য নিরাশা ডেকে আনার পর কোহলি অপ্রতিরোধ্য থাকেন এবং অপরাজিত ৭৪ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করে। তারা দ্বিতীয় উইকেটে জোড়া রানের অদম্য পার্টনারশীপ গড়ে ১৬৮ রান যোগ করেন শুধুমাত্র ১৭০ বলে। 

শুভমান গিলের (একমাত্র ব্যাটসম্যান আউট) বিদায়ের পর কোহলি ব্যাট করতে নামেন এবং দর্শকদের উল্লাস আরও বেড়ে যায়। কোহলি প্রথম বলেই মিড-অন অঞ্চলে ফুলার ফ্লিক করে দ্রুত রান সংগ্রহ করে গ্যালারির উচ্ছ্বাস বাড়িয়ে দেন। অস্ট্রেলিয়া প্রথমে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় এবং ১৮৩ রানে ৩ উইকেট থেকে ২৩৬ রানে অলআউট হয়। শেষের দিকে অজিদের জন্য কিছুটা সংগ্রাম ছিল, শেষ ৭ উইকেটে তারা মাত্র ৫৩ রান যোগ করতে সক্ষম হয়। অজিদের পক্ষে ম্যাট রেনশ ৫৬ রানে অর্ধশতক হাঁকান। ওপেনাররা শক্তিশালী শুরু করলেও মিডল অর্ডারে কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। 

ভারতের বোলারদের মধ্যে তরুণ পেসার হার্ষিত রানা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে ৪/৩৯ উইকেট শিকার করেন, যা ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং। এছাড়াও, ভারতের স্পিনাররা নিয়মিত উইকেট তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার রানের গতি কমিয়ে দেন। ওয়াশিংটন সুন্দর রানআউটের সময় ম্যাট রেনশকে এলবিডব্লিউ করে ফেরান। ভারতের ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন এবং ভারতের জয় নিশ্চিত করেন। যদিও সিরিজের ফল অস্ট্রেলিয়া ২-১ ব্যবধানে জয় লাভ করে, তবে এই জয় কিছুটা হলেও স্বস্তি ও আত্মবিশ্বাস ধরে রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের জন্য।

পোস্টটি শেয়ার করুন