আরও একটি একদিনের ম্যাচে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫ উইকেটে জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। শুরু থেকেই দুর্দান্ত চাপ সৃষ্টি করে নিউজিল্যান্ডের বলersরা। ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা ৩৬ ওভারে মাত্র ১৭৫ রান করে অলআউট হয়ে যায়। এর বিপক্ষে, নিউজিল্যান্ড এই রান সহজেই তাড়া করে ৩৩.১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে। এই জয়সহ নিউজিল্যান্ড এখন সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে, ফলে এই তিন ম্যাচের সিরিজটি তাদের হাতে ঠেকতে আর কিছু বাকি নেই। এই জয় মানে ১২ বছর পর আবারও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতল নিউজিল্যান্ড, সাথে ঘরের মাঠে ১৭ বছর পর জিতল। ২০২৩ বিশ্বকাপের পর থেকে ইংল্যান্ডের ওয়ানডে দুর্দশা অব্যাহত আছে। ২৫ ম্যাচের মধ্যে এখন পর্যন্ত তাদের ১৭টিতে হার, যা দলের জন্য খুবই হতাশাজনক। তবে এই ম্যাচে ইংল্যান্ডের একজন standout খেলেছেন, তিনি হলেন জফরা আর্চার। আর্চার আধিপত্য দেখিয়েছেন বল হাতের খেলায়। তিনি প্রথম বলেই ওপেনার উইল ইয়াংকে ০ রানে ফেরান। এরপর রানির মধ্যে রাচিন রবীন্দ্র ও মাইকেল ব্রেসওয়েলকেও ফেরান। ১০ ওভারে ৪ মেডেনসহ ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেয় আর্চার। ৬০ বলের মধ্যে ৫১ বলই ডট; কিন্তু এই আর্চারের পারফরম্যান্স জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি। অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছায়। রবীন্দ্রর ৫৪ ও মিচেল ৫৬ রানের পর, স্যান্টনার ১৭ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সহজ করে দেন নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে শুরু করেন। মাত্র ৮১ রান করতে গিয়ে ৫ উইকেট পড়ে যায়। বেন ডাকেট, জেমি স্মিথ, জো রুট, জ্যাকব বেথেল এবং জস বাটলার সবাই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন রুট। উইকেট পতনের পরও মনে হয়েছিল ইংল্যান্ড আরও বড় সংগ্রহ করতে পারে। কারণ দলের অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক তখন খেলছিলেন। তবে তিনি ৩৪ রান করে আউট হয়ে যান। দলের স্কোর তখন ১০৫ রানে ৬ উইকেট পড়ে যায়। ইংল্যান্ডের জন্য আকাশের স্বপ্ন তখনও উঁচু। তবে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি ব্রুক। শেষদিকে জেমি ওভারটনের ৪২ রানের ঝড়া ইনিংসের উপর ভর করে ইংল্যান্ড ৩৬ ওভারে ১৭৫ রানে অলআউট হয়। নিউজিল্যান্ডের পেসার ব্লেয়ার টিকনার ৩৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার সম্মান পান। সংক্ষিপ্ত স্কোর: ইংল্যান্ড: ৩৬ ওভারে ১৭৫ (ওভারটন ৪২, ব্রুক ৩৪; টিকনার ৪/৩৪, স্মিথ ২/২৭) নিউজিল্যান্ড: ৩৩.১ ওভারে ১৭৭/৫ (মিচেল ৫৪, রবীন্দ্র ৫৪; ৩/২৩, ওভারটন ১/৩৬) ফলাফল: নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা: ব্লেয়ার টিকনার।

 
				 
															



