রবিবার, ২রা নভেম্বর, ২০২৫, ১৭ই কার্তিক, ১৪৩২

ভারতে ‘প্রেগন্যান্ট জব’ প্রতারণায় ঠিকাদার ১১ লাখ টাকা হারালেন

প্রতিদিন নতুন নতুন সাইबर প্রতারণার কৌশল বের করছে অপরাধীরা, যা সাধারণ মানুষকে খুব সহজেই ফাঁদে ফেলছে। বিশেষ করে ফিনান্সিয়াল প্রতারণা ও নজরবন্দি করার জন্য নানা ট্রিক ব্যবহার করা হচ্ছে। সম্প্রতি ভারতের মহারাষ্ট্রের পুণে শহরে একটি নতুন প্রতারণার ঘটনা প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে এক ঠিকাদার ‘প্রেগন্যান্ট জব’ নামে ভুয়ো বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পড়ে তার সম্পূর্ণ সঞ্চয় হারিয়েছেন।

পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, ঠগবাজরা মোবাইলের মাধ্যমে একটি ভিডিও বিজ্ঞাপন পাঠিয়েছিল। ওই বিজ্ঞাপনে একজন নারী হিন্দিতে বলছেন, ‘আমাকে অন্তঃসত্ত্বা করতে পারলে সেই ব্যক্তিকে ২৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে। এই কাজে শিক্ষিত বা অবচেতন, জাত, ধর্ম বা চোখের রঙ—কোনো বাধা নেই।’

ধারাভাষ্যের জন্য ঠিকাদার ওই বিজ্ঞাপনের নম্বরে ফোন করেন। একজন ব্যক্তি ফোন রিসিভ করেন এবং নিজেকে ‘প্রেগন্যান্ট জব’ সংস্থার একজন কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন। তারা ঠিকাদারকে বলেন যে, ‘প্রেগন্যান্ট জব’ অ্যাকাউন্টে নিজের নাম নথিভুক্ত করতে হবে এবং তার জন্য একটি পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।

নথিভুক্তির পর থেকে শুরু হয় ফোনে যোগাযোগ, যেখানে তাকে একের পর এক বিভিন্ন ধরণের টাকা জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়, যেমন রেজিস্ট্রেশন ফি, পরিচয়পত্র, জিএসটি, টিডিএস, তথ্য যাচাই এবং প্রক্রিয়াকরণের জন্য অর্থ পাঠাতে বলা হয়। এভাবে প্রতারকরা তাকে নানা রকম প্রলোভন দেখিয়ে ধীরে ধীরে প্রতারণার জালে জড়িয়ে ফেলে।

অবশেষে, এই প্রতারণা চলাকালীন ঠিকাদার ১১ লাখ টাকা ইউপিআই ও আইএমপিএসের মাধ্যমে পাঠান। এরপরই প্রতারকরা তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। যখন ঠিকাদার বুঝতে পারেন যে তিনি সাইবার অপরাধীদের জালে পড়ে গেছেন, তখন তিনি কাছাকাছি পুলিশের দ্বারস্থ হন এবং একটি অভিযোগ দাখিল করেন।

এই ঘটনা আমাদের জন্য একটি সতর্কবার্তা যে, সাইবার প্রতারণা দ্রম্নত বাড়ছে, তাই সবাই যেন সতর্ক থাকেন এবং অজানার কল বা ম্যাসেজে কোনও অজানা লিঙ্কে ক্লিক না করেন।

পোস্টটি শেয়ার করুন