বছর শেষ হয়ে আসছে, আর এই সময়ে অনেক প্রেক্ষাপটে কেউ না কেউ নিজ নিজ পারফরম্যান্সের পরিসংখ্যান নিবিড়ভাবে দেখছেন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এ বছর শীর্ষ উইকেট শিকারির তালিকায় বাংলাদেশের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন রয়েছেন। তিনি এখন পর্যন্ত টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে এই সংস্করণে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
তবে বিশেষ বিষয় হলো, পুরো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই বছর সব দল মিলিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় তিনি প্রথম স্থানে নন। এর শীর্ষে রয়েছেন বাহরাইনের পেসার রিজওয়ান বাট, যিনি ২৯ ম্যাচে ৫০ উইকেট সংগ্রহ করেছেন। তার পরে অস্ট্রিয়ার পেসার উমাইর তারিক ৩০ ম্যাচে ৪৮ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় এবং আকিব ইকবাল ৩৬ ম্যাচে ৪৩ উইকেট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।
যদিও এই তালিকায় থাকছেন দলীয় দেশের বাইরে অনেক ক্রিকেটার, কিন্তু যখন বিশ্ব শীর্ষের কথা আসে, তখন দেখা যায়, টেস্ট খেলুড়ে দেশের সঙ্গে আইসিসির সহযোগী দেশের ক্রিকেটাররাও এই তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন। এই বছর শীর্ষ দশের মধ্যে, রিশাদের স্থান দশম, যেখানে তার সঙ্গে সমান ২৬ উইকেট সংগ্রহ করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার জেসন হোল্ডার। তবে রিশাদের ১৭ ম্যাচে খেলার মধ্যে এই উইকেট সংগ্রহ তার পারফরম্যান্সের শক্তিমত্তার প্রমাণ।
অন্য দিকে, হোল্ডারের তুলনায় রিশাদের ইকোনমি রেট (৮.৫০ বনাম ৮.৫৯) ও ওভারসংখ্যা (৭৪.২ বনাম ৬৩.৩) কিছুটা ভালো, যদিও বলিং গড়ে (২৪.৩০ বনাম ২১.০০) হোল্ডার এগিয়ে থাকেন।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কিছু বলার মতো অঙ্ক রয়েছে। মোহাম্মদ নেওয়াজ ১৯ ম্যাচে ১৭ ইনিংসে ২৫ উইকেট নিয়েছেন, তাসকিন আহমেদ ১২ ম্যাচে ১২ ইনিংসে ২৪ উইকেট সংগ্রহ করেছেন, অন্যদিকে মোস্তাফিজুর রহমান ১৭ ম্যাচে ১৭ ইনিংসে ২৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন। এই পাঁচ বোলারদের মধ্যে রিশাদ ও হোল্ডার উভয়েই আগের চেয়ে আরও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ রাখছেন।
এ বছর এবি ট্রান্স পারফরম্যান্স অনুযায়ী আরও চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। বর্তমানে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে এক ম্যাচ বাকি থাকলেও রিশাদ ইতোমধ্যে দুটি ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়েছেন। আগামী নভেম্বরে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের সিরিজেও তার পারফরম্যান্স নজর কাড়বে, যেখানে আরও ভালো পারফরম্যান্সের সম্ভাবনা রয়েছে।





