বুধবার, ৫ই নভেম্বর, ২০২৫, ২০শে কার্তিক, ১৪৩২

প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে অন্যরা সাড়া দিলে আমরাও আলোচনা শুরু করব: তাহের

রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানকে ইতিবাচক হিসেবে দেখেছেন জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যদি সরকার উদ্যোগ না নেয়, তাহলে রেফারির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। তাহের বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে অন্যরা সাড়া দিলে আমরাও আলোচনা শুরু করতে রাজি।’ গতকাল সোমবার আটটি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এই সময় দলের নেতারা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং নতুন কর্মসূচি হিসেবে সমাবেশ ও গণমিছিলের ঘোষণা দেন। আন্দোলনরত দলগুলোর প্রতিনিধিরা রাজধানীর পুরানো পল্টন এলাকায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কার্যালয়ে জরুরি সভা করেন, যেখানে দাবি পূরণের জন্য করণীয় নির্ধারণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। সভার পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘উচ্চকক্ষে পিআরের ব্যাপারে আট দলের সবাই, জনগণ ও সরকার একমত। জুলাই সনদের বাস্তবায়ন না হলে আমাদের দাবি পূরণ হবে না। প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে যদি অন্যরা সাড়া দেয়, তবে আমরাও আলোচনা শুরু করতে রাজি।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদি উপদেষ্টা পরিষদ কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করে শুধু আমাদের ওপর ছেড়ে দেয়, তবে রেফারির দায়িত্ব কে নেবে?’ তাহের আরও জানান, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা করে একমত হওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। তবে এ ব্যাপারে সরকারের রেফারির ভূমিকা অনেক জরুরি। সব রাজনৈতিক দল আলোচনা করতে চায়।’ পাশাপাশি, তিনি বলেন, ‘বিএনপির কিছু নেতা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। জানানো দরকার, জাতীয় নির্বাচনের দিনে যদি গণভোট হয়, তবে সেই ভোটের সত্যিকারের মূল্যায়ন হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির বিভিন্ন নেতা বিভিন্ন রকম বক্তব্য দিয়েছেন, যা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। সনদে গণভোটের দাবী উত্তরাধিকারী হলেও, অনেকেরই মত—গণভোট এখনই অপরিহার্য নয়।’ একই অনুষ্ঠানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, ‘যদি জুলাই সনদ আইনি সম্মতি না পায়, তবে পরবর্তী নির্বাচনের বৈধতা বিপন্ন হবে। একই দিনে গণভোট এবং নির্বাচন হলে জুলাই সনদের প্রভাব থাকবে না। কারণ, একই দিনে গণভোট ও নির্বাচনের ইতিহাস এখনো তৈরি হয়নি।’

পোস্টটি শেয়ার করুন