ন্যাশভিলের মাঠে রোববারের ম্যাচে জেতা হলে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রিমিয়ার লিগের (এমএলএস) কাপ প্লে-অফের সেমিফাইনালে উঠে যেতো ইন্টার মায়ামি। তবে শেষ পর্যন্ত হেরে বাড়ি ফিরতে হয়েছে মায়ামিকে। ম্যাচের শেষদিকে লিওনেল মেসির সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন গোলটি শুধু ব্যবধান কমিয়েছে, কিন্তু তার জন্য সেমিফাইনালের আশা বাঁচতে পারেনি দলটি। মূলত ২-১ গোলে হারের পরও ৮ নভেম্বরের শেষ ম্যাচে আবার দুই দল মুখোমুখি হবে, যেখানে জয়ী হলে সেমিফাইনালে উঠে যাবে ছেলেরা।
এমএলএস কাপের প্রথম রাউন্ডের প্লে-অফ তিন ম্যাচের সিরিজের ফর্মুলায় খেলানো হয়। যদি কোনো দল প্রথম দুই ম্যাচে জয় পায়, তবে তৃতীয় ম্যাচ খেলার প্রয়োজন হয় না। আগের ম্যাচে নিজেদের ঘরের মাঠে ৩-১ গোলে জয় পেয়েছিলো মায়ামি, যা তাদের সেমির আনুমানিক জায়গা করে দেয়। তবে আজকের ম্যাচে সেটা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। ন্যাশভিলের মাঠে বলের দখলে অনেকটাই এগিয়ে থাকা সত্ত্বেও কার্যকর সম্ভব হয়নি মায়ামির জন্য জয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি। এর আগে ১০ ম্যাচে একটিও জেতা হয়নি ন্যাশভিলের বিরুদ্ধে, আর ২০২৩ সালের মে মাসের পরে প্রথমবারের মতো জয় এসেছে তারা মেসির বিরুদ্ধে। ফলে, শেষ ম্যাচে প্রথম রাউন্ডের ভাগ্য নির্ধারিত হবে।
ম্যাচে বলের আধিপত্যে বেশ এগিয়ে থাকলেও কার্যকরী ফল পায়নি মায়ামি। পুরো ম্যাচে ৬১ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রাখতে পারলেও, গোলের জন্য কষ্টে ছিল দলটি। অন্যদিকে, ন্যাশভিলের ১০ শটের মধ্যে ৫টির লক্ষ্যভেদ করেছে। প্রথমার্ধের নবম মিনিটে স্বাগতিকরা এগিয়ে যায়। মায়ামির গোলকিপার রোকো রিওস ডি-বক্সের মধ্যে স্যাম সারিজকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ন্যাশভিল।
সারিজ সফলভাবে স্পটকিকটি রাঙান, লিগের সেকেন্ড সর্বোচ্চ ২৪ গোলের আর্জেন্টাইন তারকা। ৪৫তম মিনিটে কর্নার থেকে জটলার মধ্যে পা লাগিয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন জশ বাউয়ার। বিরতির পর মাঠে ফিরেই নিজেদের হারিয়ে ফেলে মায়ামি। লিওস সুয়ারেজের একটি শট ন্যাশভিলের গোলকিপার উইলিসের দারুণভাবে ফিরিয়ে দেন। ৮৬তম মিনিটে মেসির প্রথম শটটি আটকে দেয় তিনি। অবশেষে ৯০তম মিনিটে অসাধারণ একটা গোল করেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। রদ্রিগো ডি পলের জন্য বল পান তিনি, বক্সের কোণে থেকে বাম পা দিয়ে গোল করেন। অবশ্য তার এই গোল ব্যবধান কমায় মাত্র।
ম্যাচ শেষে স্যাম সারিজের পেনাল্টি নিয়েও আপত্তি করে মায়ামির কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো। তিনি বলেন, ‘পেনাল্টি আমাদের জন্য একটি ধাক্কা। আমরা তখন ভালো খেলছিলাম। সিদ্ধান্তটি আমার মতে বিতর্কিত। রেফারিং নিয়ে আমি বাজে মন্তব্য করতে চাই না, কিন্তু ভিএআরে সেটি না যাওয়াটা অদ্ভুত মনে হয়েছে।’





