ঢাকা শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাসহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে মারধর, নির্যাতন এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নতুন মামলা দায়ের হয়েছে। এই ঘটনা গত বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুজ্জামানের আদালতে নালিশি মামলা হিসেবে দায়ের করা হয়। মামলার আবেদনে একজন ব্যক্তি নিজের পরিচয় দিয়েছেন as ‘জুলাই যোদ্ধা’। তিনি অভিযোগ করেন যে, গত ২৭ মে তিনি অনুদান সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে যান। যেখানে কর্মরত কিছু কর্মকর্তাসহ অন্য আসামিরা তাকে আলোবিহীন একটি রুমে নিয়ে যান। সেখানে তাকে হামলা করা হয়, তার পরিণতি গুরুতর আহত হন। বাদী বলেন যে, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে মারধর করা হয়, এমনকি পাইপ দিয়ে মারধর করা হয়। জ্ঞান হারানোর পর পুনরায় মারধর শুরু হয়। তার দাবি, আসামিরা তাকে জোরপূর্বক চাপ প্রয়োগ করে বিভিন্ন ধরণের নির্যাতন চালায় এবং জোর করে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। তিনি আরও জানান, বিএনপি নেতার সঙ্গে ছবি দেখানোর পর তার উপর আবার হামলা করে আসামিরা। অবশেষে, একটি ইনজেকশন জোরপূর্বক তার ডান হাতে পুশ করে বেশ কিছুক্ষণ অচেতন অবস্থায় ফেলে রাখে। এরপর অসুস্থ তার অবস্থা এবং উন্নত চিকিৎস্যা নিতে হয়। এই সমস্ত অত্যাচার ও নির্যাতনের দায়ে তিনি মামলা করেন এবং আদালত তদন্তের জন্য শাহবাগ থানার ওসিকে অভিযোগের তদন্ত ও প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, সাইদুর রহমান শাহিদ, সাগর, ইফতেখার হোসেন, আফজালু রহমান সায়েম, সাবরিনা আফরোজ শ্রাবন্তী, সোনিয়া আক্তার লুবনা, ফাতেমা আফরিন পায়েল, আলিফ, মেহেদী হাসান প্রিন্স এবং জাহিদ। এই ঘটনায় বাদী বলেন, তিনি স্পষ্টতই একজন ‘জুলাই যোদ্ধা’ নামে পরিচিত। এ ঘটনার পর তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়ার পড়ে আদালতকে পুরো বিষয়টি নিশ্চিত করেন।





