জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত শিক্ষার্থী মীর মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেছেন, তরুণ প্রজন্ম এবং জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের জন্য আমরা একটি বৃহৎ রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম থেকে কাজ করতে চাই। তিনি উল্লেখ করেন, এই দলের কাছ থেকে তরুণদের জন্য অনেক কিছু পাওয়ার আছে ও অত্যন্ত কিছু প্রত্যাশা রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আমি তরুণদের সেই সব চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারব।
স্নিগ্ধ গত মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন। গুলশানে দলটির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে সদস্যপত্র জমা দিয়ে তিনি দলে যুক্ত হন।
বিএনপিতে যোগ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে স্নিগ্ধ বলেন, নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল হলো বিএনপি। এই দলের মাধ্যমে আমি জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের বিষয়ে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে পারব। এছাড়া, বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখার বেশ কিছু বিষয়েও আমি সরাসরি অংশগ্রহণে আগ্রহী।
যোগদান করার আগে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি তার লক্ষ্য ও আকাঙ্ক্ষার কথা প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি লেখেন, তার রাজনীতিতে আসার মূল উদ্দেশ্য হলো জুলাই আন্দোলনের শহীদ ও আহতদের প্রতিনিধিত্ব করা, তাদের বর্তমান পরিস্থিতির ‘ভয়েস’ হওয়া এবং তরুণদের রাজনীতিতে আরও সংখ্যাগরিষ্ঠ করে তোলা।
স্নিগ্ধ উল্লেখ করেন, তার ভাই মুগ্ধ বা পরিবারের কেউ আগে কখনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। মুগ্ধকে তিনি ‘দেশের সম্পদ’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, তিনি সম্পূর্ণ নিজস্ব সিদ্ধান্তে এবং নিজের যোগ্যতার ভিত্তিতে রাজনীতিতে এসেছেন।
তিনি আরও জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার থেকে তরুণদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য দলের মধ্যে স্থান চেয়েছেন, যা তার নিজের রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষারই অংশ।





