রবিবার, ৯ই নভেম্বর, ২০২৫, ২৪শে কার্তিক, ১৪৩২

কানাডা-বাংলাদেশ বাণিজ্য উন্নয়নে বিজিএমইএ ও বিবিসিসির সমঝোতা স্বাক্ষর

বাংলাদেশের শীর্ষ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সংস্থা বিজিএমইএ এবং কানাডার বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব কানাডা (বিবিসিসি) বৃহস্পতিবার একটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হলো দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করা, বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করা এবং দ 둘ের ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করা।

আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাজধানীর উত্তরার বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এই স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বিজিএমইএর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, এবং বিবিসিসির প্রতিনিধির দায়িত্বে ছিলেন সভাপতি আলমগীর এম রহমান। অনুষ্ঠানটি সফলভাবে পরিচালিত হয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে, যেমন প্রথম সহসভাপতি সেলিম রহমান, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ইনামুল হক খান, সহসভাপতি মো. রেজোয়ান সেলিম, অর্থ সহসভাপতি মিজানুর রহমান, পরিচালক ফয়সাল সামাদ, নাফিস-উ-দৌলা এবং সাবেক পরিচালক ইকবাল হামিদ কোরাইশী আদনানসহ অন্যান্যরা।

সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, বিজিএমইএ ও বিবিসিসি তাদের সদস্যদের জন্য পারস্পরিক সুবিধা প্রদান, নেটওয়ার্কিং ও জ্ঞান আদানপ্রদানের জন্য একটি স্থায়ী প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক গড়ে তুলবে। এর মাধ্যমে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রশিক্ষণ ও এটি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমগুলো আরও গতিশীল হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যকার ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং উভয় দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে তা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হয়।

বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান এই বিষয়ে বলেন, ‘বিবিসিসির সঙ্গে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি কানাডা ও উত্তর আমেরিকার বাজারে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের সম্ভাবনাকে তুলে ধরবে। উন্নত বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও জ্ঞানের বিনিময় আমাদের দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে বলে আমরা আশাবাদী।’

চুক্তির আওতায় উভয় পক্ষ যৌথভাবে কাজ করবে: সদস্যদের মধ্যে নেটওয়ার্কিং ও জ্ঞান বিনিময় বৃদ্ধির জন্য; কানাডা ও বাংলাদেশে বাণিজ্য মেলা ও প্রদর্শনী আয়োজনের মাধ্যমে পণ্য প্রসমোচনায় সহযোগিতা; বাংলাদেশের পোশাক ও টেক্সটাইল পণ্যের কানাডা ও উর্দ্ধ উত্তর আমেরিকায় প্রচারণা চালানো; উদ্যোক্তা ও পেশাজীবীদের দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ; শিল্পে বিনিয়োগ ও যৌথ উদ্যোগ উৎসাহিত করা; এবং আন্তর্জাতিক বাজারের প্রবণতা ও নীতি-গবেষণার তথ্য বিনিময়।

পোস্টটি শেয়ার করুন