বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, দেশটাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, কিছু চক্র ধর্মীয় অনুভূতি বিক্রি করে দেশের উন্নতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অম্লান করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এ জন্য আমাদের মালুম হতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের গৌরব অটুট রাখতে হবে এবং সে চেতনাকে কেউ বিনষ্ট করতে পারে না।
সোমবার ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলে যাওয়ার অপচেষ্টা চলছে, যেন ৭১ এর ঘটনা আর কখনো ঘটে নি। তারা সাজিয়ে বলছে, ৭১ এর জন্য আমরা কোনও অবদান রাখিনি; বরং ২৪ তারিখের গণঅভ্যুত্থান ও মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোকে অস্বীকার করার অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে।
তিনি বললেন, বাংলাদেশের মাটি ও মানুষ আমাদের, এই দেশের স্বপ্ন সফল করাটা আমাদের কর্তব্য। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বেগম খালেদা জিয়া তার দুই ছেলে, তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোসহ পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে বন্দি হয়েছিলেন। এই ইতিহাস আমাদের বুকের গভীরে আছেই, কেউ এই ইতিহাস থেকে দূরে রাখতে পারবেন না।
ফখরুল আরও বলেন, ৭১ সালে লাখ লাখ নিরপরাধ ভাইকে হত্যার শিকার হতে হয়েছিল। অনেকেই নিরুপায় হয়ে অপ্রত্যাশিতভাবে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। মা-বোনের ওপর অমানবিক অত্যাচার হয়েছে। সেই অশনি দিনগুলোকে ভুলে যাওয়া দুঃসাধ্য, কারণ এক পরিকল্পিত চক্র মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদারদের সঙ্গে যোগসাজশে ন individuelle হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, একটি শক্তি নির্বাচন পেছানোর জন্য ষড়যন্ত্র করছে, যা দেশ ও জাতির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তিনি দ্রুত একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দাবি জানান, কারণ একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেশের শান্তি ও অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের আহ্বায়ক নুর করিম। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি নাঈম জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহম্মদ খান, জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সল আমীন এবং অন্য বিশিষ্টরা।




