শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

তারেক রহমান: জাতির অগ্নিপথের স্পন্দন ও স্বপ্নদ্রষ্টা

কোনো এক বিশেষ জন্মদিন কেবল ব্যক্তিগত আনন্দের নয়; এটি এমন একটা সময়ের সংখ্যক অংশীদারিত্ব যা ইতিহাসের পাতায় নতুন কিছু লিখে যায়। ২০ নভেম্বর সেই দিন, যখন পৃথিবীর বুকে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন এক ব্যক্তি—যার সংগ্রাম, জীবনমান, এবং অবিচল দৃঢ়তার গল্প আজও জাতির হৃদয়ে আলো জ্বেলে চলছে। তিনি হলেন জনাব তারেক রহমান—জনপ্রিয় নেতা, দেশের গণতান্ত্রিক চেতনার স্বপ্নবীজ, এবং অম্লান এক প্রতীক।

উত্তরাধিকার থেকে উত্তরণ: এক আদর্শ নেতার নির্মাণযাত্রা

স্বাধীনতার মহান ঘোষক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাহসী নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান হিসেবে তার শৈশব-কৈশোর নদীর পানির মতো সচ্ছ। তবে, তিনি কখনোই পারিবারিক গৌরবের ওপর ভর করে নেতৃত্ব দাবি করেননি। তিনি জানতেন—নেতৃত্ব যোগ্যতা, ধৈর্য ও মানুষের হৃদয়ে বিশ্বাস থেকে আসে।

তার জন্য তিনি গ্রাম থেকে শহর, নদী থেকে পাহাড়, কৃষকের ঘর থেকে শিল্পীর কারখানা—প্রতিটি জীবন, প্রতিটি কষ্ট তিনি গুলি দিয়ে শুনেছেন ও হৃদয়ে ধারণ করেছেন। মাটির গন্ধ থেকে শিখেছেন মানুষের সত্যের রাজনীতি, গঠন করেছেন নিজের ভিতর তিক্ততা ও দৃঢ়তা। এই আত্মপ্রত্যয়ই তাকে নেতৃত্বের প্রকৃত মূলমন্ত্রে রূপান্তরিত করেছে।

জনগণনির্ভর নতুন রাজনৈতিক নির্মাণ

তারেক রহমানের রাজনীতি কেবল ক্ষমতার জন্য নয়; এটি মানুষের আস্থা, বিশ্বাস ও স্বপ্নের সঙ্গে সংযুক্ত। তিনি বিশ্বাস করেন—সাধারণ মানুষের স্বरों মাধ্যমেই গণতন্ত্র। গ্রামের চায়ের দোকানে, বাজারে, পথের ধারে আলোচনা, সেই সব জনসমাগমের মাধ্যমে তিনি বুঝেছেন আসল শক্তির উৎস। তিনি স্কুল, কলেজ, মাঠে ছাত্র-জনতা, শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মিলিত হয়ে শিখিয়েছেন—সঠিক নেতৃত্বের মূল মন্ত্র হলো তৃণমূলের বিশ্বাস।

তাই তো তিনি স্বপ্ন দেখেন এক নতুন বাংলাদেশ, যেখানে নেতৃত্বের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে সাধারণ মানুষ—তাদের দুঃখ, আশা, স্বপ্ন ও অধিকার।

ব্যক্তিজীবনের নিঃসঙ্গতা ও ভিতরে লুকানো অগ্নি

অবদান ও কর্মে তিনি সংযত, নিঃশব্দ, কিন্তু ভিতরে অগ্নিসম্পৃক্ত। তাঁর চোখের গভীরতা বলছে, তিনি শব্দের চেয়ে বেশি বিশ্বাস করেন দৃষ্টির ভাষায়। নিজের কষ্ট, লালসা কিংবা ক্লান্তি কখনো প্রকাশ করেন না। জানেন—নেতার প্রথম গুণ হলো নিজের কষ্টের সঙ্গে সহনশীলতা আর মানুষের স্বার্থে আত্মঅহিতে অটুট থাকা। তাঁর এই নিঃসঙ্গতা বা শান্ত স্বভাবের পিছনে লুকানো থাকে এক বিশাল মানবিক শক্তি।

দুঃসময়ের অগ্নিপথে অক্ষয় সাহসিকতা

হাসিনা সরকারের নির্মম দমন-পীড়নের বিভীষিকা তাঁর জীবনেও এক কালো অধ্যায় রচনা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের নেতাদের এই হারানো মূল্যবোধ, স্বজন হারানোর বেদনা, কারাবরণের যন্ত্রণা আজও তাঁর মনকে দ Montag রহমানের গল্প শুনিয়েছে। অমানবিক নির্যাতন ও যুদ্ধের মধ্যেও তিনি হাল ছাড়েননি, বরং অন্ধকারে নিজের অঅনুমান শক্তিকে শক্তি করে তুলেছেন। এমনকি কারাগারে থাকলেও তাঁর দৃষ্টিতে স্পষ্ট—অন্তরীক্ষের আলো অন্ধকারের মধ্যেও জ্বলজ্বল করে তেড়ে আসে।

বিপর্যয়ের আঘাতে তিনি ভেঙে পড়েননি, বরং আরও দৃঢ় হয়েছেন। দেশের ভালোবাসা, নিজের সুপ্ত স্বপ্ন আর মানবিক তৃষ্ণা তাঁকে সময়ের চেয়ে অনেক বড় করে তুলেছে। নিজের জন্মভূমি থেকে দুরে থাকলেও তাঁর মন তো বাংলাদেশের মুক্তির স্বপ্নে মোড়া।

রাষ্ট্রদর্শন: স্বপ্ন ও সত্যের পথপ্রদর্শক

তারেক রহমান শুধুমাত্র গণতন্ত্রের নিয়ম নিয়ে ভাবেন না; তিনি এটিকে মানুষের মর্যাদা ও স্বাধিকার ফিরিয়ে আনার একতারা মনে করেন। তাঁর চোখে এমন রাষ্ট্র গড়ার স্বপ্ন, যেখানে সব মানুষের সমান সুযোগ থাকবে, সম্পদ সঠিকভাবে বিতরণ হবে, ক্ষমতা থাকবে জনগণের হাতে। তিনি চান—একটি দেশের মানুষ ভয় নয়, বিশ্বাস নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে। আইন হবে সবাইকে সমান চোখে দেখা, ন্যায় হবে অবাধ ও সুষ্ঠু। প্রযুক্তি, শিক্ষা ও উন্নত জীবনযাত্রার মধ্য দিয়ে এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রত্যয় নিয়ে তিনি ভাবেন।

অর্জনের সুন্দর ছবি ও অপ্রাপ্তির বেদনা

তার জীবনের ইতিহাস মানুষ ভালোবাসার, ত্যাগের প্রেরণার। তিনি সাধারণ মানুষের নেতা, প্রেরণা, গণতন্ত্রের প্রতীক, যিনি দেশের জন্য কাজ করে চলেছেন বহুদূর। দেশের ভেতরে থাকলেও তাঁর মন ভারতে, দেশের বাইরে, তাই যেন সবার হৃদয়ে তিনি আছেন।

তবুও, তাঁর অপ্রাপ্তি কম নয়—মাতৃভূমি থেকে দূরে থাকা, মায়ের দীর্ঘ কারাবাস, ছোট ভাইয়ের শহীদ হওয়া, সহযোদ্ধাদের খুন-গুমের স্মৃতি ও নিজের দেশের দৃশ্য না দেখার আক্ষেপ। এই সব বেদনা তাঁকে কখনো ভেঙে দেয়নি, বরং আরও শক্ত ও মানবিক করে তুলেছে।

আজকের বাংলাদেশ তাঁর মুখ্য প্রত্যাশা—একটি দেশের জন্য, যেখানে সমাজের সব স্তর থেকে উঠে আসা মানুষ একত্র হয়, যেখানে সত্য আর ন্যায় প্রতিষ্ঠা পায়। যেখানে দুর্নীতি, অন্যায়, দমন-পীড়ন শেষ হয়ে যাবে।

প্রতীক্ষার ধূনতে ভরে উঠছে এক নতুন দিনের প্রত্যাশা। মানুষের মন আজ অপেক্ষায়—এই মানুষটিকে নিয়ে, যিনি অতীতের শিক্ষা, বর্তমানের বাস্তবতা ও ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেন। তিনি এমন একজন নেতা, যিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ান, ন্যায়ের পতাকা উত্তোলন করেন। তাঁর প্রত্যাবর্তন মানে—গণতন্ত্রের পুনর্জন্ম, আইনের শাসন ও নৈতিক শক্তির জাগরণ।

তিনি সেই সত্যের আলো, স্বপ্নের দিশারি ও ভবিষ্যতের দৃঢ়পথিক—একজন মানুষ, যার নেতৃত্বে দেশ আরও এগিয়ে যাবে। দেশের মর্যাদা ও মানুষের স্বধিকার প্রতিষ্ঠায় তাঁর সঙ্গে এক হয়ে, আমরা সবাই অপেক্ষায় আছি।

শুভ জন্মদিন, প্রিয় নেতা জনাব তারেক রহমান। আপনার এই শুভ দিনটি হোক আলোর উৎস, আপনার প্রত্যাবর্তন আরও উজ্জ্বল করে দিক আমাদের বাংলাদেশকে। মহান আল্লাহ আপনাকে হেফাজত করুন। আমিন।

পোস্টটি শেয়ার করুন