রবিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

নানা আয়োজনের মাধ্যমে খাসি সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ‘খাসি সেং কুটস্নেম’ উদযাপন

নাচ-গানে ঢাকার মধ্যে খাসিয়া সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ১২৬তম বর্ষ বিদায় এবং বর্ষবরণ উৎসব ব্যাপক আয়োজনের মাধ্যমে পালন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে শুধু খাসিয়া সম্প্রদায়ই নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বাঙালি ও বিভিন্ন পেশার মানুষ, পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকরাও ব্যাপক উৎসাহের সাথে অংশগ্রহণ করেন। এ বছর খাসিয়া জনগোষ্ঠী ১২৬ বছরপূর্তি এন্তেজাম করে বিদায় জানালেন, এবং নতুন বর্ষকে স্বাগত জানান ১২৭তম বর্ষের জন্য।

প্রাচীন থেকেই ব্রিটিশ শাসনকাল থেকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে ২৩ নভেম্বর খাসি জনগোষ্ঠীর বছর শেষের এই উৎসব “খাসি সেঙ কুটস্যাম” হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন কারণে কয়েক বছর ধরে এই অনুষ্ঠানে কিছুটা কমতি দেখা গেলেও, এ বছর মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মাগুরছড়া পুঞ্জিতে দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়।

অতিথিদের শুভেচ্ছা জানাতে পুঞ্জির প্রতিনিধিদের Poncho দিয়ে সম্মাননা এবং অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সিলেট অঞ্চলের প্রায় অর্ধশত খাসিয়া পুঞ্জির প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন। এ উৎসবের মূল উদ্দেশ্য হলো দেবতাদের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করা ও খাসিয়াদের একতা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা।

উৎসবের স্থান মাগুরছড়া ফুটবল মাঠে প্রাকৃতিক পরিবেশে বাঁশের খুঁটির উপর নারিকেল গাছের পাতার ছাউনী তৈরি করে আলোচনা সভার আয়োজন হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জির প্রধান ও বৃহত্তর সিলেট আদিবাসী ফোরামের কো-চেয়ারম্যান জিডিসন প্রধান সুচিয়াং। অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর, শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ আসনের বিএনপি প্রার্থী আলহাজ মো. मুজিবুর রহমান চৌধুরী, এবং এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব প্রীতম দাশসহ আরও একাধিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।

এই ঐতিহ্যবাহী ‘খাসি সেং কুটস্নেম’ উৎসবের মাধ্যমে এক যুগান্তকারী সাংস্কৃতিক সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং খাসিয়া समुदायের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নতুন প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরা আরও শক্তিশালী হচ্ছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন