মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভাটেরচর নতুন রাস্তা এলাকায় অবস্থিত একটি আবাসিক হোটেল থেকে অসামাজিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার নগরীর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নিকটস্থ এই এলাকায় অবস্থিত ‘ফ্রেশ ভাটেরচর গেস্ট হাউস এন্ড রেস্টুরেন্ট’ অভিযানের মাধ্যমে তাদের ধরে নেওয়া হয়।
আটককৃতদের মধ্যে তিন নারী যৌনকর্মী ও দুইজন প্রেমিক-প্রেমিকা রয়েছেন। তাদের নাম হলো নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার তমা আক্তার (২৮), জামালপুরের সাথী আক্তার (২০), পটুয়াখালীর শামীমা আক্তার (২২), গজারিয়ার বর্ষা (১৮) ও সুমন মিয়া (২৫)।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই বাড়ির মালিক স্থানীয় রাসেল মিয়া। কিন্তু এক বছর আগে নারায়ণগঞ্জের দেলোয়্যার হোসেন নামে এক ব্যক্তি বাড়িটি ভাড়া নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। এই হোটেলে প্রায়ই সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আসা-যাওয়া লক্ষ্য করা যেত। বিশেষ করে রাতের সময় এখানে ছেলে-মেয়েদের অবাধ চলাফেরা ছিল নজরে আসার বিষয়।
অভিযুক্ত হোটেলটি অসামাজিক কার্যকলাপের আড়ালে থাকা কারণে অনেক স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী ও পুলিশ এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে খবর দেন। রোববার দুপুরে কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী সেখানে প্রবেশ করলে তারা হাতেনাতে তিন নারী যৌনকর্মী ও এক প্রেমিক-প্রেমিকা যুগলকে ধরে ফেলেন। হোটেল পরিচালনাকারীরা ব্যাপারটি বুঝে দ্রুত ভবনের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপরে পুলিশ এসে তালা ভেঙে অভিযুক্তদের উদ্ধার করে। পরে পাঁচজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা কবির হোসেন বলেন, ‘দিনের বেলায় এই হোটেলে খুব কম লোকের আসা-যাওয়া দেখেছি। 처음 মনে হয়নি এখানে কিছু অসাধু কাজ হয়; তবে পরে বুঝতে পেরেছি যে দেহ ব্যবসার জন্য এখানে অঘোষিতভাবে জমজমাট আয়োজন হয়। এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা উচিত।’
অন্য একজন স্থানীয় বাসিন্দা মাওলানা আল আমিন বলেন, ‘গজারিয়ার মাটিতে এমন অপকর্মের জন্য যে দায়িত্বশীলরা জড়িত, তারা শাস্তি পাবে। এই ধরনের অপপ্রয়াস আমাদের এলাকায় মেনে নেওয়া যায় না এবং সংশ্লিষ্ট আলেম-ওলামারা একযোগে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাড়ির মালিক রাসেল মিয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার আলম আজাদ জানান, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তাৎক্ষণিক একটি অভিযান পরিচালনা করি। এতে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে তিনজন পেশাদার যৌনকর্মী ও দুইজন প্রেমিক-প্রেমিকা। তাদেরকে দণ্ডবিধির ২৯০ ধারায় জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’





