নীলফামারীর উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) এলাকার সনিক বাংলাদেশ লিমিটেড কারখানার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকাকে কেন্দ্র করে কঠোর মানববন্ধন হয়েছে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে। রোববার বেলা ১১টার দিকে ইপিজেডের প্রধান গেটে শ্রমিকরা মানববন্ধন করে এবং শেষে তারা উত্তরা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন।
মানববন্ধনে অংশ নেন শ্রমিক নেতারা, নাজমুল হোসেন, শরিফুল মণ্ডল, রাবেয়া বেগম, আসমা বেগম, ইয়াসমিন, রুবেল রানা, আব্দুর রহমান ও সুজন ইসলামসহ বেশ কয়েকজন। তারা ‘আন্দোলন হটাও, ইপিজেড বাঁচা’ শ্লোগানে শ্রমিকদের একসঙ্গে মানববন্ধনটি সম্পন্ন করেন।
শ্রমিকরা জানিয়েছেন, এই কারখানা তাদের জীবিকা ও পরিবারের ভবিষ্যতের নির্ভরযোগ্য স্থান। তারা বলেন, শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল কর্মপরিবেশ বজায় রাখা আমাদের মূল দায়িত্ব। তবে কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে বলে তারা অভিযোগ করেন, যা তাদের এবং পরিবারের জন্য বিপজ্জনক।
শ্রমিকরা আরও উল্লেখ করেন, তারা আর কোনও বিশৃঙ্খলা বা আন্দোলন চাইছে না। শুধুমাত্র তাদের কর্মস্থল ফিরে পাওয়ার আকুল আবেদন জানাচ্ছেন। তারা বলেছেন, যদি ইপিজেড চালু থাকে, তবে শ্রমিকরা বাঁচবে, এবং তাদের পরিবারও নিরাপদ থাকবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ নভেম্বর শ্রমিকরা ২৬ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর ১৭ নভেম্বর মালিকপক্ষ দাবি মেনে নিলে কিছু শ্রমিক এতে অসন্তুষ্ট হন। অতঃপর ১৮ নভেম্বর শতাধিক শ্রমিক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে কর্মবিরতিতে যান। কাজের অস্বীকৃতি ও উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় কারখানা কর্তৃপক্ষ সেই দিনই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন।





