শুক্রবার, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৫, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

২৮ মাস পর আবার যমুনা সার কারখানা উৎপাদনে ফিরছে

অভিনন্দন জানানো হলো, দীর্ঘ ২৩ মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে অবস্থিত দেশের অন্যতম বৃহৎ ইউরিয়া কারখানা, যমুনা সার কারখানা (জেএফসিএল), পুনরায় গ্যাস সংযোগ পেয়েছে। গ্যাস সরবরাহ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই কারখানার কার্যক্রম আবার চালু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত সোমবার সন্ধ্যার পরে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি গ্যাস সরবরাহের সুবিধা দেয়। মঙ্গলবার এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন কারখানার উপ-প্রধান প্রকৌশলী (রসায়ন) মো. ফজলুল হক। দীর্ঘ সময় পর গ্যাস সংযোগ ফিরে আসায় কারখানার কর্মকর্তা, কর্মচারী, শ্রমিক, ডিলার ও স্থানীয় বাসিন্দারা অত্যন্ত খুশি।

জানা গেছে, ১৯৯১ সালে তারাকান্দি এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় এশিয়ার অন্যতম বড় দানাদার ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানা। এটি বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং কেপিআই-১ মানসম্পন্ন সার উৎপাদনের জন্য পরিচিত। প্রতিদিন প্রায় ৪২ থেকে ৪৩ পিএসআই গ্যাসের প্রয়োজন হয় কারখানার সঠিক উৎপাদনের জন্য। প্রতিষ্ঠার পর থেকে দিনে ১,৭০০ টন সার উৎপাদন করত এ কারখানা। তবে বিভিন্ন সময়ে গ্যাসের চাপ কমে যাওয়া ও ত্রুটির কারণে উৎপাদন কমে ১,২০০ টনের কাছাকাছি নেমে আসে।

২০২৫ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে তিতাস গ্যাসের চাপ স্বল্পতার কারণে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ ১৩ মাসের বন্ধ থাকার পর ২৩ ফেব্রুয়ারি আবার গ্যাস সংযোগ পেয়ে কার্যক্রম পুনরায় শুরু করে কারখানা। তবে, মাত্র চার দিনের মাথায় অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে রাত ৭টার পর পুনরায় উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। সেই থেকে এই বৃহৎ কারখানাটির কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

অবশেষে, গত সোমবার থেকে গ্যাসের চাপ বাড়ানোর মাধ্যমে ইউরিয়া উৎপাদনের কার্যক্রম আবার শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মো. ফজলুল হক জানান, ‘সোমবার সন্ধ্যার পর গ্যাসের চাপ বাড়ানো হয়েছে। কিছু যন্ত্রের মেরামত শেষে আগামী সপ্তাহের মধ্যে পুরোপুরি উৎপাদন শুরু আশা করা হচ্ছে।’ এই পুনরায় কার্যক্রম শুরুকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট সকলের মাঝে আনন্দ এবং আশা ব্যाप्त হয়েছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন