গণঅভ্যুত্থানে প্রাণ হারানো ১১৪ জন শহীদের পরিচয় খুঁজে বের করতে রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলনের কাজ শুরু করেছে পুলিশ পরিস্থিতি। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সুর্যোদয়ের পর থেকেই এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এই লাশগুলো তোলার কাজ শুরু করেছে, যা পরে ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের মাধ্যমে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মরদেহগুলোটি প্রথমে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নেওয়া হবে, তারপর ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসারে দাফন করা হবে। এ কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আর্জেন্টিনা থেকে আনা ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ লুইস ফন্ডিব্রাইডার, যিনি জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার মাধ্যমে এই গুরুত্বপূর্ণ কাজে সহায়তা দিচ্ছেন। সিআইডির প্রধান আরও জানান, এই মরদেহগুলোর মধ্যে অনেকের পরিচয় এখনও অজানা, তবে ইতিমধ্যে ১০ জনের পরিচয় শনাক্তের জন্য আবেদন করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মোট শহীদের সংখ্যা এখানে কম হয়ে ১১৪ জনের বাইরেও বাড়তে পারে, কারণ অনেক মরদেহেরই প্রথমে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এই মরদেহগুলোতে পোস্টমর্টেমের পাশাপাশি ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে, যার ভিত্তিতে ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। ক্ষমতা অনুযায়ী, যদি পরিবারের পক্ষ থেকে চাইলে শহীদের মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এই প্রক্রিয়া চলাকালে সিআইডির হটলাইন নম্বরগুলোও প্রকাশ করা হবে, যাতে যারা চান তারা সহজে যোগাযোগ করতে পারেন। উল্লেখ্য, গত বছর বিএবিহিন্নতা বিরোধী আন্দোলনের সময় নিহত ১১৪ জনের মরদেহ ২০২৪ সালের জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানে নিহত অজ্ঞাত ব্যক্তিদের মধ্যে ছিল, যা মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশনা পেয়ে এই মরদেহগুলো এখন ফিরে পাওয়ার এবং তাদের পরিচয় শনাক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যা দেশের বিভিন্ন গণ আন্দোলনের শহীদদের পরিবারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।





