হলিউডের অন্যতম পুরোনো এবং জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন স্টুডিও ওয়ার্নার ব্রাদার্সের মালিকানা কিনছে নেটফ্লিক্স। এই বড় ধরনের চালানটিকে এখনকার বিনোদন জগতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে মনে করা হচ্ছে। নেটফ্লিক্সের এই সিদ্ধান্তের ফলে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের ডিসকভারি টিভি ও ফিল্ম শাখাগুলোর সঙ্গে এগিয়ে আসছে এইচবিও ম্যাক্স, এইচবিও এবং অন্যান্য স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলো। গত শুক্রবার এই ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন নেটফ্লিক্সের পক্ষ থেকে।
খবর অনুসারে, এই চুক্তিতে নগদ ও স্টকের সমন্বয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের প্রতিটি শেয়ারের মূল্য ধরা হয়েছে ২৭.৭৫ ডলার। এর মাধ্যমে কোম্পানিটির মোট মূল্য দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৮২.৭ বিলিয়ন ডলার। এটি বিনোদন জগতে সাম্প্রতিক কালের বৃহত্তম অধিগ্রহণের একটি। আশা করা হচ্ছে, এই লেনদেন ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে সম্পন্ন হবে।
বেশ কিছুদিন ধরেই এই মালিকানা হস্তান্তর নিয়ে গুঞ্জন চলছিল। মূলত: অন্যান্য বড় মিডিয়া সংস্থা যেমন কমকাস্ট ও প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্স এই স্টুডিওটির মালিকানা কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছিল। তবে সব প্রতিযোগিতাকে পেছনে ফেলে নেটফ্লিক্স এই পারিশ্রমিকের বিনিময়ে শেয়ার কিনে নিয়েছে। উল্লেখ্য, ওয়ার্নার ব্রাদার্সের হাতে ছিল ‘হ্যারি পটার’, ‘গেম অব থানস’-এর মতো বিখ্যাত ফ্র্যাঞ্চাইজি, যা এখন থেকে নেটফ্লিক্সের অধীনে আসছে।
নেটফ্লিক্সের মুখপাত্র টেড সারানডোস বলেছেন, আমরা এই বড় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিনোদন শিল্পে এক নতুন যুগের সূচনা করতে পারব বলে আশাবাদী। এভাবে দেশ-বিদেশের নানা রকমের আকর্ষণীয় কনটেন্ট এখন থেকে দর্শকদের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছে যাবে।





