অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল সান্তোস ফুটবলাররা। ব্রাজিলের মর্যাদাপূর্ণ সিরি ‘এ’ লিগের শেষ রাউন্ডে ক্রুজেইরোকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে তারা অবনমন বা রেলিগেশন এড়িয়ে গেল। এই কঠিন পরিস্থিতিতে দলের নেতৃত্ব দেন ঘরের ছেলে এবং দেশের জনপ্রিয় ফুটবলার নেইমার। চোটের কারণে কিছুটা অস্বস্তি থাকলেও তিনি মাঠে নেমে দলকে রক্ষাকবচের মতো শক্ত করে দাড় করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাকে দেখেই বোঝা যায়, তিনি কতটা প্রবল মনোভাব নিয়ে দলের জন্য সংগ্রাম করেছেন।
পেলে যেমন ব্রাজিলের ইতিহাসের অংশ, তেমনি সান্তোসও ছিল পেলের পরিচিতি ও গর্বের নাম। ২০২৩ সালে পেলের মৃত্যুর এক বছরও হয়নি, ঠিক তখনই ক্লাবটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় ডিভিশনে নেমে গিয়েছিল। এবার অবশ্য সেই দুঃস্বপ্ন ফেরার আগে সান্তোস যেনো নিজেদের অবস্থান শক্ত করে তুলতে চেয়েছিল। এই লক্ষ্যেই গত জানুয়ারিতে আবারও নিজের পুরনো ঠিকানায় ফিরে আসেন নেইমার। লিগের শেষ তিন ম্যাচে তিনি তার বৈচিত্র্যপূর্ণ দক্ষতা দেখিয়ে দিয়েছেন। স্পোর্ট রেসিফের বিপক্ষে এক গোলের পাশাপাশি জুভেন্তুদে দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করে তিনি দারুণ আলোচিত হন। শেষ ম্যাচে তিনি দলের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে অবদান রাখেন।
রোববার ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামে ঘরের মাঠে থাকাকালীন, নেইমার তার প্লেমেকিং জাদু দেখিয়ে দলের জয়ে বড় অবদান রাখেন। প্রথমার্ধের ২৬ ও ২৮ মিনিটে থাসিয়ানো দুটো গোল করেন, তার আগে উজ্জ্বল করে দেন। দ্বিতীয়ার্ধের ৬০ মিনিটে জোয়াও শ্মিট তৃতীয় গোলটি করেন। এই দাপুটে জয়ের ফলে সান্তোস ৪৭ পয়েন্টের সাথে লিগের ১২তম স্থানে মৌসুম শেষ করে।
পুরো মৌসুমে চোটের সঙ্গে লড়াই করে যাওয়া নেইমার মাত্র ১৯টি ম্যাচ খেলতে পেরেছেন, তবে তার অবদান ছিল ৮ গোল। ম্যাচ শেষে তিনি আবেগাপ্লুত মুখে বলেন, ‘আমি ফিরে এসেছি দলকে সাহায্য করতে। গত কয়েক সপ্তাহ আমার জন্য খুব কঠিন ছিল। হাঁটুর চোটের কারণে খেলাটাই ছিল অনিশ্চিত। আমার পাশে থাকা সবাইকে ধন্যবাদ জানাই, যারা আমাকে সাহস দিয়েছিলেন।’
অন্যদিকে, লিগের একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সিয়ারারকে ১-০ এ হারিয়ে নিজেদের নবম শিরোপা নিশ্চিত করেছে ফ্ল্যামেঙ্গো। গত মাসের কোপা লিবার্তাদোরেস জয়ী দলটি এখন ঘরোয়া লিগেও নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখেছে।





