রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে এখনো সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি সংকটাপন্ন থাকলেও নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং চিকিৎসায় ইতিবাচক সাড়া মেলে। বুধবার রাতে হাসপাতাল গেটের এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। তিনি সবাইকে অনুরোধ করেন, তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো ধরনের গুজবে মনোযোগ না দেওয়ার জন্য।
ডা. জাহিদ আরও জানান, গত শুক্রবার খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। তবে সে সময় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের কারিগরি ত্রুটি ও তাঁর শারীরিক অবস্থানের কারণে ভ্রমণ সম্ভব হয়নি।বর্তমানে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে তাঁকে দেশের ভিতরেই সর্বোত্তম চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকদের আশা রয়েছে, তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে পরবর্তী সময়ে তাঁকে বিদেশে নেওয়া যেতে পারে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিশেষ করে লন্ডন থেকে গত ৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরেছেন ডা. জোবাইদা রহমান, যিনি এখন সার্বক্ষণিকভাবে চিকিৎসার তদারকি করছেন। ওই বোর্ডে দেশের বাইরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাও যুক্ত রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ৮০ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘ দিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং কিডনি জটিলতায় ভুগছেন। তিনি ২৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালের ভর্তি হন এবং ২৭ নভেম্বর ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দিলে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটে। এর পর থেকেই তাঁকে বিশেষ ব্যবস্থায় নিবিড় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, বুধবার দুপুরে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে হাসপাতালে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর আলম। তিনি এক ঘণ্টারও বেশি সময় হাসপাতালস্থ চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁর চিকিৎসার চলমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যত করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।





