মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন ভারত ও রাশিয়াকে চীনের কাছে হারিয়ে ফেলেছে। তিনি পোস্টে ব্যঙ্গ করে মন্তব্য করেন যে, এই তিনটি দেশই শক্তিশালী এবং স্বাভাবিকভাবেই তাদের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধ হবে। ট্রাম্পের এই মন্তব্য তখন আসল যখন বেইজিং নতুন বিশ্বব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এবং ওয়াশিংটন নেতারা নয়াদিল্লি ও মস্কোকে নিয়ে এই মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি তিয়ানজিনে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আতিথ্য দিয়েছেন।
ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে, আমরা ভারত এবং রাশিয়াকে সবচেয়ে গভীর অন্ধকারের দিকে চীনের কাছে হারিয়ে ফেলেছি। আমি আশা করি, তাদের ভবিষ্যৎ হবে দীর্ঘ, সমৃদ্ধ এবং স্বার্থক।’
এই মন্তব্য দিয়ে ট্রাম্প নয়াদিল্লি, মস্কো ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্কের গভীরতা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। তাদের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে পারমাণবিক শক্তিধর এই তিন দেশ নানা বিষয়ে আলোচনা ও সহযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছে, যেমন জ্বালানি, নিরাপত্তা, ইউক্রেন যুদ্ধ ও বিশ্ববাণিজ্য নীতিসহ।
বহুবছর ধরেই ওয়াশিংটন ভারতকে চীনের প্রভাব মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখে আসছে। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় প্রশাসনই নয়াদিল্লির সাথে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য বিনিয়োগ করে।
নিজের প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি সম্পর্কের কিছু ফাটল বোঝায়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ট্রাম্পের শুল্কনীতি এবং রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের জ্বালানি বাণিজ্য নিয়ে সমালোচনা ওয়াশিংটনের সাথে নয়াদিল্লির সম্পর্ক কিছুটা দুর্বল করেছে।