বৃহস্পতিবার, ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩২

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ৪ মাসে নির্ধারণ

আজ বুধবার রাজধানীতে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভায় ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য মূল প্রশিক্ষণের মেয়াদ ছয় মাস থেকে কমিয়ে চার মাস করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে দুই মাস প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে এবং এক মাস মাঠপর্যায়ে ওরিয়েন্টেশন ও গ্রাম সংযুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

আরো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, সরকারি কর্মকর্তাদের মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে ভর্তির সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৪৭ বছর করা হবে। পিএইচডি করতে আসন নেয়ার সময় প্রতি বছর তত্ত্বাবধায়কের অগ্রগতির মূল্যায়ন মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। যদি তা না করা হয়, সংশ্লিষ্ট কর্মকতাদের বেতনের হিসাব বন্ধ রাখা হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারি সব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মান উন্নয়ন পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। কী ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, তার ধরন ও মান নির্ণয় করে প্রতিটি কেন্দ্রকে ক্যাটাগরিভিত্তিক র্যাংকিং করতে হবে এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যেতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে একটি আলাদা ইউনিট গঠন করতে হবে। তারা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মূল্যায়ন করবে, পরিচালনা ও মান পর্যবেক্ষণ করবে। বিদেশে নেওয়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তথ্যও এই পর্যবেক্ষণে থাকবে।’

এছাড়াও সভায় ‘সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণ’ এর নাম পরিবর্তন করে “দক্ষতা নবায়ন প্রশিক্ষণ” করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হালনাগাদ কারিকুলামে মাঠে প্রশিক্ষণ আঞ্চলিক এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর জন্যও আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। উচ্চশিক্ষায় ইচ্ছুক কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে আংশিক বৃত্তিপ্রাপ্ত থাকলেও প্রেষণ অনুমোদন দেওয়া যাবে।

অর্জনসম্পন্ন সততা ও নৈতিকতা বিকাশের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে সদ্গুণ, নৈতিকতা, আচরণবিজ্ঞান ও আচরণবিধি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, প্রতিষ্ঠান ও বিষয়গুলো মূল্যায়ন ও গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আমদানিকৃত সিদ্ধান্তের সামগ্রিক মালিকানা ও নিয়মিত কার্যক্রমের জন্য অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে একটি নির্বাহী কমিটি (ইসিএনটিসি) গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পোস্টটি শেয়ার করুন