রবিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫, ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

সোনারগাঁওয়ে ইসলামী দলের প্রার্থীদের ঐক্য ঘোষণা

নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে ইসলামী দলের সংসদ সদস্য প্রার্থীরা একে অপরের সাথে মিলিত হয়ে একটি ঐক্যের ঘোষণা দিয়েছেন। তারা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক আগে এই ঐক্যবদ্ধতা ঘোষণা করেছেন, যাতে মুসলিমউম্মাহর স্বার্থ রক্ষা ও ইসলামি মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটে।

গত মঙ্গলবার রাতে, প্রার্থীরা নিজেদের উপস্থিতি দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করতে সোনারগাঁওয়ের বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের হামছাদী এলাকায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কার্যালয়ে একটি যৌথ আলোচনা সভা আয়োজন করে। এই সভায় ঐক্যজোটভুক্ত পাঁচ দলের সংসদ সদস্য প্রার্থী একত্রিত হয়ে নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন জামায়াত ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী প্রিন্সিপাল ড. মো. ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া, খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মাওলানা শাহজাহান শিবলী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. ফারুক আহমেদ মুন্সী, ও খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মুফতি সিরাজুল ইসলামসহ স্থানীয় অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ।

বক্তারা বলেন, এই ঐক্য ইসলামী দলগুলোর রাজনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তারা আরও বলেন, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ইসলামী মূল্যবোধ এবং ন্যায়বোধের প্রতিষ্ঠার জন্য এ ধরনের ঐক্য অপরিহার্য।

প্রার্থীরা আশ্বস্ত করে বলেন, আল্লাহ যেন এই ঐক্য গ্রহণ করেন। তাঁরা দৃপ্তভাবে বলছেন, এবার ইসলামপন্থী শক্তিই সংসদে আসবে, এটাই তাঁদের বিশ্বাস। তাঁদের বক্তব্য, নির্বাচন যাই হোক না কেন, মূল লক্ষ্য হলো ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষা করা এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা। সোনারগাঁওবাসীর ভালোবাসাই তাঁদের শক্তির উৎস।

অন্যদিকে, সভায় থাকা অনেকে মন্তব্য করেন যে, বহু দিন পরে এমন ঐক্যবদ্ধ উপস্থিতি দেখার সুযোগ হলো। কেউ কেউ মনে করেন, এতে নির্বাচনী মাঠে নতুন রাজনীতি ও পরিবর্তন আসতে পারে। আবার কেউ মনে করেন, ভোটের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে কেন্দ্রে থাকা দুই বড় রাজনৈতিক দলের মধ্যেই। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জ-০৩ আসনটি সবসময়ই রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। শিল্পাঞ্চল, পর্যটনকেন্দ্র ও ঘনবসতিপূর্ণ এই সোনারগাঁওয়ে বিএনপি ও জামায়াত ইসলামী সক্রিয় রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, ৮ দলীয় ঐক্যজোটের এই ভবিষ্যৎভিত্তিক উপস্থিতি স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন আলোচনার সৃষ্টি করেছে।

সভা শেষে, প্রার্থীরা একযোগে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর এবং শিগগিরই বড় আকারের জনসভা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

পোস্টটি শেয়ার করুন